বারাসত, 24 মে: বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ারের খুনে ধৃত কসাই জিহাদ হাওলাদারকে 12 দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালতে । এ দিন মুখ ঢাকা অবস্থায় সিআইডি'র গোয়েন্দারা ধৃতকে পেশ করেন বারাসত আদালতে । তবে, খুনের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথাই বলেননি ধৃত যুবক । ওপার বাংলার সাংসদ খুনের রহস্য উদঘাটন করতে এ দিন ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিআইডি ।
সিআইডি'র তদন্তকারীরা মনে করছেন, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে অনেক মিসিং তথ্য মিলতে পারে । তাতে তদন্তের অগ্রগতি হতে পারে বলেই ধারণা গোয়েন্দাদের । সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর 24-এর ওই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশে । তিনি অবৈধভাবে এ দেশে প্রবেশ করে বসবাস করছিলেন । পরে তিনি মুম্বইয়ে চলে যান । পেশায় জিহাদ একজন কসাই । গত 2 মাস আগে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসেন খুনের 'মাস্টারমাইন্ড' বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান । সেই মতো খুনের দিন নিউটাউনের ফ্ল্যাটে কসাই জিহাদ বাংলাদেশের সাংসদের নিথর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে খুনিদের সাহায্য করেন বলে তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে সিআইডি । তাই তিনিও এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করেছেন সিআইডি'র গোয়েন্দারা ।
আরও পড়ুন:
খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার মুম্বই থেকে এই কসাইকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সিআইডি'র বিশেষ তদন্তকারী দল । এরপর ভবানী ভবনে রাতভর ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক জিহাদ হাওলাদারকে জেরা করা হয় । সিআইডি'র দাবি, জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে, ঘটনার দিন তিনি-সহ চারজন বাংলাদেশি নাগরিক নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের বি-ইউ ব্লকের চার তলার 56 নম্বর ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন । সেখানে আগে থেকেই খুনের সবকিছু পরিকল্পনা তৈরি ছিল । সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনোয়ার সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । খুনের পর তাঁর নিথর দেহ ফ্ল্যাটেই টুকরো টুকরো করে কেটে তা সরিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র । এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ট্রলি এবং প্লাস্টিকের ব্যাগও ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ।