ঘাটাল, 18 জুলাই: পুলিশের জুলুম বাজির অভিযোগ তুলে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের। যার ফলে দোকানে আকাল পোলট্রি মাংসের। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সবাই পড়েছেন সমস্যায়, ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। যদিও অ্যাসোসিয়েশনের দাবি যতক্ষণ না, তাঁদের দাবি মানা হবে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে।
ক্ষোভে ফুঁসছেন ক্রেতা-বিক্রেতা (ইটিভি ভারত) বৃহস্পতিবার থেকেই মুরগির মাংসের জোগানে টান পড়তে চলেছে রাজ্যজুড়ে ৷ এমনই আশঙ্কা করছেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। মূলত ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তার জেরেই মাংসের জোগানে সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা। বিশেষ করে পোলট্রি ফার্মগুলিতে যে মুরগি উৎপাদন করা হয়, তা খোলা বাজারে নিয়ে আসেন ট্রেডাররা।
রাজ্যে পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় 4 হাজার 557টি গাড়ি চলে। অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে পুলিশি জুলুমবাজি। সম্প্রতি, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায় এমনই এক ঘটনায় মুরগির গাড়ির খালাসি 100 টাকায় রফা করতে চাইলে তাঁর উপর চড়াও হয় পুলিশ ৷ তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়, মারের চোটে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়। রাজ্যজুড়ে এহেন পুলিশি জুলুমবাজির বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে রাজ্য পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ফলে দোকানগুলিতে সাপ্লাই নেই মুরগির ৷ এর জেরে মুরগির মাংসে ঘাটতি পড়বে বলে জানাচ্ছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতারা। সকলেই চাইছেন, দ্রুত এই বিষয়টির সমাধান না-হলে চরম সমস্যা দেখা দেবে। ইতিমধ্যে ঘাটাল মহকুমায় বেশকিছু দোকানে মুরগির জোগান না-থাকার কারণে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন। একদিকে যেমন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে অপরদিকে, দেখা দিয়েছে মুরগির মাংসের আকাল ৷ সমস্যায় ক্রেতারাও। এই টালবাহানা চলতে থাকলে আগামিদিনে মুরগির মাংসের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে ৷