চুঁচুড়া, 6 সেপ্টেম্বর: চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের মুকুটে নয়া পালক । ‘শীর্ষ প্রযুক্তিগত সমাধানগুলির প্রতিলিপি’ বিভাগে ই-গভর্নেন্স, 2024 (স্বর্ণ)-তে জাতীয় পুরস্কার পেল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট ৷ গত 3 ও 4 সেপ্টেম্বর মুম্বইতে অনুষ্ঠিত ই-গভর্নেন্সের 27তম জাতীয় সম্মেলনে এই পুরস্কার দেওয়া হয় ।
মূলত চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের থানাগুলিতে ই-মালখানা তৈরি করা হয়েছে । যার মাধ্যমে মদ, গাঁজা, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গাড়ি-সহ যে সমস্ত জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই বাজেয়াপ্ত জিনিসগুলি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে জবাবদিহি করতে হয় পুলিশকে । তার জন্য বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিস ভালো করে প্যাক করে তার উপর বার কোড লাগানো হয় । সেই বার কোডের ভিত্তিতে সহজেই বাজেয়াপ্ত জিনিসের হদিশ পাওয়া যাবে ৷
জাতীয় পুরস্কার পেল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট (ইটিভি ভারত) এমনকী কোন মালখানায় সেই জিনিস আছে সেটারও হদিশ মিলবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সার্ভারে সমস্ত তথ্য সংগ্ৰহ করা থাকবে ।সেখানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা এই কাজের জন্য নিযুক্ত থাকবেন । এই ব্যবস্থা গোটা দেশের মধ্যে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটকে আলাদা জায়গা করে দিয়েছে । সে কারণেই এই বিভাগে প্রথম পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে চন্দননগর কমিশনারেটকে । ইতিমধ্যেই মামলার সম্পত্তির পদ্ধতিগত ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্পটি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাতটি থানাতে বাস্তবায়িত করা হয়েছে ।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, তাঁকে দু’জন পুলিশ অফিসার এই ডিজিটালাইড মালখানা করতে সাহায্য করেছেন ।
ডিজিটাল মালখানা করে ঝুলিতে এল জাতীয় পুরস্কার (ইটিভি ভারত) গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরের একটি টিম এসেছিল । দিল্লিতে গিয়েও তাঁদের ডেমনস্ট্রেশন দিতে হয় । এসিপি শুভতোষ বিশ্বাস চন্দননগর পুলিশের পক্ষ থেকে এই পুরষ্কার গ্রহণ করেন । তিনি বলেন, ‘‘গত বছর দেশের সেরা তিন থানার মধ্যে একটি হয়েছিল শ্রীরামপুর থানা ৷ এবার এল ই-গভর্নেন্সে স্বর্ণপদক । সকল পুলিশ কর্মী এবং কারিগরি কর্মীদের অভিনন্দন জানাই যারা মালখানাকে ডিজিটালাইজ করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ।’’