কলকাতা, 13 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তার ধর্ষণ ও খুনের মামলা সিবিআই-এর হাতে। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেই সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছয় টালা থানায়। এই কেসের সমস্ত নথি নিয়ে তারা এসে পৌছায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে। তবে এই কেসের আসামি সঞ্জয় কে এখনো নিয়ে আসা হয়নি সিবিআই দফতরে।
আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডে এবার হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেই ঘটনার কেস ডাইরি হাতে নিল সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে হাজির হন স্থানীয় টালা থানায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চাইছেন যে, গত শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের তরফে স্থানীয় থানায় যখন খবর দেওয়া হল, তারপর থেকে স্থানীয় থানার তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ? এছাড়াও, সিবিআই আধিকারিকরা সব থেকে যেই ব্যক্তিকে নজরে রেখেছেন, তাঁর নাম আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গোটা দিনে তাঁর কী ভূমিকা ছিল এবং তিনি কখন কীভাবে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তদন্তে কতটা তাঁর ভূমিকা ছিল, সেই বিষয়টিও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা।
হাসপাতালের তরফে যখন স্থানীয় টালা থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানায়, সেই সময় থানায় কে প্রথম ফোন ধরেছিলেন ? এছাড়াও, পুলিশকর্মী হাসপাতালের তরফ থেকে সেই বার্তা পাওয়ার পর কতক্ষণের মধ্যে টালা থানার ওসিকে ঘটনাটি 'ব্রিফ' করেছিলেন? এছাড়াও, স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জের ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে চাইছেন যে, এই খবর শোনার পর টালা থানার ইনচার্জ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? এবং কতক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন?
এছাড়াও, টালা থানা এবং আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিককে তদন্ত করতে গিয়ে সরিয়েছে লালবাজার। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তাঁরা । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, রবিবারের মধ্যে যদি অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করতে পারে, সে ক্ষেত্রে এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে, তার অপেক্ষা না করে আজই অবিলম্বে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, এই ঘটনার তদন্তভার যেন সিবিআই গ্রহণ করে । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার কেস ডাইরি গ্রহণ করতে টালা থানায় পৌঁছে গেল একটি বিশেষ দল।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই সঞ্জয় রায়কে লালবাজারের সিটের হাত থেকে নিজেদের হেফাজতে সিবিআই। ভালোভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।