কলকাতা, 3 মার্চ: যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চোখে তিনি 'ভগবান' ৷ তার জন্য শিক্ষায় দুর্নীতির একাধিক কালো ছায়া সরতে চলেছে বলে মনে করেন চাকরি প্রার্থীরা। শুধু চাকরিপ্রার্থী নয়, সমাজের বহু মানুষ তাঁকে পরিচয় দেয় "ঈশ্বর" নামে। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ আম জনতার 'ঈশ্বর' এবার সরতে চলেছেন বিচারপতি পদ থেকে। রাজনৈতিক ময়দানে এবার দেখা যেতে পারে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। রবিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিচারপতি খোদ। তাঁর এই ইঙ্গিত নিয়ে কী বলছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে চাকরি পাওয়া সোমা দাস?
এদিন তিনি বলেন, "উনি একজন জনদরদী মানুষ। আমি তো ওঁনার মানবিকতার রূপ দেখেছি। এবার ওঁনার একটা নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ থাকতেই পারে। তবে উনি বহু সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবার এটা যদি উনি রাজনৈতিক মঞ্চেও করতে চান, তাহলে আমাদের পশ্চিমবাংলার মানুষের ভালো হবে। আমাদের রাজনীতিতে অভাব হচ্ছে ন্যায় প্রেরণা ও সততা। যেটা ওনার মধ্যে রয়েছে।"
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনৈতিক রং গায়ে লাগার পর অনেকের রূপ বদলে যায় ৷ এক সময়ে জনদরদী হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেও পরবর্তী সময়ে সেই ব্যক্তিকে দেখাই যায় না জনতার দরবারে ৷ এমনই অনেক অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের ৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এবার কী সেই আশঙ্কা করা যায়? তিনি বলেন, "উনি দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোষ করতে পারেন না। ওটাই ওঁনার প্রথম পরিচয়। আমার মনে হয় না কোনদিনই উনি দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করবেন।"
উল্লেখ্য, ক্যান্সারে আক্রান্ত সোমা দীর্ঘদিন গান্ধি মূর্তি পাদদেশে নিজের ন্যায্য অধিকারের জন্য ধরনা দিয়েছেন। নলহাটির বাসিন্দা তিনি। চাকরি না থাকায় যথাযথ চিকিৎসা করতে পারছিলেন না নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থী (State Level Selection Test) সোমা। আদালতে তাঁর শারীরিক অবস্থা শুনে রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নবান্নে তাঁর চাকরির অনুরোধ জানিয়েছিলেন বিচারপতি। তারপর 2022 সালের জুন মাসে মধুরা হাই স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান সোমার।