কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: হাওড়া পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের আবেদনে সায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট । নবান্ন অভিযানের আগে ফৌজদারি আইনের বিধি না মেনেই গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে হাওড়া পুলিশের বিরুদ্ধে । সেই কারণে তদন্তের দাবিতে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেই মামলায় শুক্রবার আবেদনকারীর দাবিতে সিলমোহর দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ।
মামলাকারীর তরফে দাবি করা হয়, দোষী পুলিশ অফিসারদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে । পাশাপাশি অযথা নবান্ন অভিযানের আগের রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতারের ফলে সম্মানহানি হয়েছে চার যুবকের । এর জন্য ক্ষতিপূরণ ধার্য করুক কলকাতা হাইকোর্ট ।
গ্রেফতার হওয়া চার যুবকের পরিবারের দাবি, 27 অগস্ট নবান্ন অভিযানের আগের রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ চার ছাত্রনেতাকে আটক করে । পরেরদিন সকালে হাইকোর্টে পরিবারের লোক তাদের খুঁজে পেতে আবেদন করলে পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় । যদিও মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, গোলমাল ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁদের আগাম গ্রেফতার করা হয়েছে ।
কিন্তু পুলিশ কোনও এফআইআর না করায় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবী । ওই চার যুবকের সঙ্গে আগের কোনও ফৌজদারি মামলার সংযোগ আছে, এমন তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি রাজ্য । বাধ্য হয়ে বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘পুলিশ কি নিজের ইচ্ছেমতো যে কাউকে গ্রেফতার করবে আবার ছেড়ে দেবে ? সেখানে আইনের বিধি মান্যতা পাবে না ?’’ এরপরই আবেদনকারীর সব দাবিকেই গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ । কারণ, মামলা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী ।
মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ, ওই চারজনকে ক্ষতিপূরণ-সহ এক গুচ্ছ পদক্ষেপের আবেদন করা হয় । এ দিন রায় দিতে গিয়ে আদালত সব আবেদন গ্রাহ্য বলে জানায় ।