কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি:সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধিমূর্তির পাদদেশে শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে ধরনার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট । 28-29 ফেব্রুয়ারি ধরনার জন্য পুলিশের অনুমতি না-পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল গেরুয়া শিবির । সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷
বিজেপিকে ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ ৷ এই নির্দেশ দেওয়ার সময় তিনি শর্ত দিয়েছেন যে, ধরনায় মাইক বাজানো যাবে না এবং 150 জন ধরনায় বসতে পারবেন । এছাড়াও আদালত বলেছে যে, মামলাকারীকে নিশ্চিত করতে হবে, কোনওরকম আইন বিরোধী কাজ যেন না করা হয় ওই কর্মসূচিতে । সকাল 10টা থেকে 6টা পর্যন্ত এই ধরনা চালানো যাবে । বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার । তবে শান্তিনিকেতন স্টাইলে কোনও প্রতিবাদ হয় না বলে হাসিমুখে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি চন্দ ।
এ দিনের শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, মামলাকারী কে ? জবাবে বিজেপির পক্ষের আইনজীবী প্রণয় রায় জানান, বিজেপির অফিস সেক্রেটারি । গান্ধিমূর্তি নীচে আদালত ধরনার অনুমতি দিক, এই আর্জি জানান তিনি । রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের যুক্তি ছিল, ওখানে চাকরিপ্রার্থীরা রোজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন । একই জায়গায় আদালত বিজেপিকে ধরনার নির্দেশ দিলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে, শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে । তবে এই যুক্তি শোনেননি বিচারপতি কৌশিক চন্দ ৷ তিনি বিজেপিকে ধরনায় বসার অনুমতি দিলেও, বেশ কয়েকটি শর্ত বেঁধে দেন ৷
উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে তিনদিনের ধরনা কর্মসূচির আর্জি জানানো হয়েছিল পুলিশের কাছে ৷ কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ৷ বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইট করে প্রশ্ন তোলেন যে, একই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী ধরনা কর্মসূচি করতে পারেন, কিন্তু বিজেপিকে কেন অনুমতি দেওয়া যায় না ?
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালি-কাণ্ডের প্রতিবাদে ময়দানে ধরনার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে সুকান্ত
- রাজীবকে দেখতে পেয়ে ধরনা মঞ্চে 'গদ্দার' স্লোগান, দলীয় নেতাদের মঞ্চ ছাড়তে নির্দেশ সুব্রত বক্সীর
- ঘুরপথে সন্দেশখালিতে বাম-বুদ্ধিজীবীরা, ন্যাজাটে কংগ্রেসকে বাধা পুলিশের