কলকাতা, 11 ডিসেম্বর: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সাসপেন্ড হওয়া সাতজন ইন্টার্নের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ ছিল ৷ কলেজ কর্তৃপক্ষকে সেই বিষয়ে জানাতে বুধবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । তবে গোপনীয়তার স্বার্থে তাঁদের নাম বা অন্যান্য তথ্য আদালতকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।
এ দিন আদালতের শুনানিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত জানান, 9 অগস্ট আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন হয় কলেজে ক্যাম্পাসে । একাধিক আপত্তিকর ঘটনা ঘটেছিল সেখানে । তার আগে থেকেই কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ছিল ।
সেই ঘটনায় 2 সেপ্টেম্বর বেশকিছু ডাক্তার একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানান ।
6 সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান কমিটি অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করে । 11 সেপ্টেম্বর কলেজ কাউন্সিলকে জানানো হয় । তারপরই এনএমসি গাইডলাইন মেনেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সাতজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে । র্যাগিংয়ের অভিযোগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাতজন ইন্টার্নকে সাসপেন্ড করা হয় ৷
কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওই সাতজন পড়ুয়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । গত 8 নভেম্বর মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁদের সাসপেনশন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ দেন ৷ একইসঙ্গে পরীক্ষায়ও তাঁরা বসতে পারবেন বলে জানান বিচারপতি ৷ আদালতের নির্দেশে ওই সাতজন পড়ুয়া ইতিমধ্যেই রেগুলার ক্লাসও করছেন ।
এ দিন ফের ওই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তাতে রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য, "কলেজের র্যাগিং বা শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো ঘটনার ব্যাপারে রাজ্যকে আগে কিছুই জানানো হয়নি । বহিষ্কারের নির্দেশ বা এই ধরনের পদক্ষেপ যথাযথ নিয়ম অনুয়ায়ী করা উচিত ।" আইনজীবী কল্লোল বসু জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের তরফে বলেন, "রাজ্য সরকার এ বিষয়ে অনেক আগে থেকেই জানতো । কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি ।"
বিচারপতি সেনগুপ্ত আগামী 10 জানুয়ারি ফের শুনানির জন্য রেখেছেন মামলাটি । এর মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল ।
এর আগে, মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কলেজ কাউন্সিলের প্রস্তাব ঠিক ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে । র্যাগিংয়ের চার্জ কী ? কোনও পদক্ষেপ আগে করা হয়েছে কী ? অভিযোগ কোথায় ? পাঁচ বছর আগের অভিযোগে কি এখনই পদক্ষেপ করবে ? পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী ? তাঁরা কী করেছে সেটা আগে জানাক কলেজ কর্তৃপক্ষ ।"