বুনিয়াদপুর (দক্ষিণ দিনাজপুর), 14 অক্টোবর: হাত-পা বাঁধা৷ মুখে লাগানো সেলোটেপ ৷ এই অবস্থায় সোমবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে উদ্ধার হল এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ ৷ নিহতের নাম মিঠুন চক্রবর্তী ৷
তিনি বুনিয়াদপুর পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৷ স্থানীয় ধুমসাদিঘি এলাকায় 512 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারেই তাঁর বাড়ি৷ সেই বাড়ির একটি ঘর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের তদন্তে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র) কী কারণে খুন, সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ স্থানীয়দের অনুমান, ব্যবসায়িক কারণেই খুন করা হয়ে থাকতে পারে মিঠুন চক্রবর্তীকে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ কী কারণে খুন হতে হল ওই ব্যবসায়ীকে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মিঠুনের স্ত্রী দুর্গাপুজোর জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে গিয়েছেন ৷ সেখানেই মিঠুনের শ্বশুরবাড়ি ৷ সেখানেই গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী ৷ তাই বাড়িতে এই ক’দিন একাই ছিলেন তিনি ৷ সোমবার ভোরের দিকে মিঠুনের বাড়ির সামনে একটি সাদা গাড়ি আসে ৷ তার পর চলেও যায় ৷ পরে সকালে ঘরের মধ্যে মিঠুনকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে সেলোটেপ লাগানো অবস্থায় দেখতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ৷
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের তদন্তে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র) স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত মণ্ডলের দাবি, মিঠুন তাঁর শোওয়ার ঘরেই পড়েছিলেন ৷ তাঁকে খুন করে ঘর থেকে টাকা, গয়না লুট করে নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে ৷ অন্যদিকে শংকর সরকার নামে আরেক বাসিন্দা জানান, তিনি যখন আসেন, তখন মিঠুনের দেহ বের করা হচ্ছে ৷ রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিঠুনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৷ তবে কী কারণে খুন, সেই নিয়ে তিনি সন্দিহান ৷
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের তদন্তে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র) ফলে ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে মিঠুনকে খুন করা হল, নাকি লুটপাঠ করতে এসে খুন করা হল, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ পুলিশ সবদিক খতিয়ে দেখছে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, ধুমসাদিঘি এলাকায় একজন খুন হয়েছেন, তাঁর নিজের শোওয়ার ঘরে । পুলিশ মৃতদের উদ্ধার করেছে । তবে কী কারণে খুন হতে হল ওই ব্যবসায়ীকে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়দের ভিড় ঘটনাস্থলে (নিজস্ব চিত্র) এর জন্য যে প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা, তা হল - মিঠুন যে বাড়িতে একা ছিলেন, তা কি দুষ্কৃতীরা আগে থেকেই জানত ? যদি সেটাই হবে, তাহলে কি মিঠুনের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের আগে থেকে পরিচয় ছিল ? লুটে বাধা দেওয়াতেই কি খুন নাকি খুন করার পর ঘটনার মোড় ঘোরাতে লুট করা হয়েছে ?
ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারের তদন্তে পুলিশ (নিজস্ব চিত্র) আপাতত ঘটনার তদন্ত করছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশিহারী থানার পুলিশ৷ তারা ঘটনাস্থল সিল করে দিয়েছে ৷ পরিবার, স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়িকভাবে যাঁরা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা ৷