বোলপুর, 23 অক্টোবর: রাজ্যপাল নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীই উপাচার্য ঠিক করবেন ৷ রাজ্যের 36টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ বোলপুরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের আহ্বানে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, "রাজ্যপালের ভিসিকে আমরা মানি না"৷
ঘূর্ণিঝড় দানার ভ্রুকুটিতে বুধবার বিকেল থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছে বোলপুরের আকাশ ৷ অঝোরে বৃষ্টিও চলেছে ৷ তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই বোলপুরে মুলুকে তৃণমূলের তরফে বুধবার বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফয়জুল হক ওরফে কাজল শেখ, বোলপুরের সাংসদ অসিত কুমার মাল, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব । বিজয়া সম্মিলনীর সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী । তখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বলতে গিয়ে একহাত নেন রাজ্যপালকে ৷
রাজ্যপালকে কটাক্ষ শিক্ষামন্ত্রীর (নিজস্ব ভিডিয়ো) প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের 36টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন । যাঁদের মাথায় রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইউইউ ললিত ।
নিয়োগে রাজ্যপালের সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "রাজ্যপাল সহযোগিতা করেননি বলেই সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে ও উপাচার্য নিয়োগ চলছে । রাজ্যপাল এটা মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না ৷ আজকেও উনি একটা পোস্ট করেছেন ৷ বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্যপাল নার্ভাস হয়ে গিয়েছেন । উনি ভাবছেন পুরোটা সরকারের হাতে যাবে ৷ উনি ঠিকই ভাবছেন ৷ ওঁর কোনও এক্তিয়ার নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রীই উপাচার্য ঠিক করবেন ৷"
বোলপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (নিজস্ব চিত্র) বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনও দফতরে স্থায়ী নিয়োগ হয়নি ৷ এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "দু'বছর এখানে কোনও ভিসি ছিল না ৷ মানে আমাদের সরকারের ভিসি ৷ রাজ্যপালের ভিসি আমরা মানি না । তাই নতুন ভিসি নিয়োগ হলেই সব পদে নিয়োগ হবে ।"