বহরমপুর, 8 সেপ্টেম্বর: চারদিন পর ভাগীরথী থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ নার্সের দেহ। শনিবার রাতে ওই নার্সকে বালিধাবড়া ঘাট থেকে উদ্ধার করে বহরমপুর থানার পুলিশ। মৃতের বাড়ি বহরমপুর থানার কোদলায়। দেহ উদ্ধার হতেই যুবতী নার্সের মৃত্যু রহস্য আরও জোরালো হল। মৃতের মা বলেন, "আমি মিসিং ডাইরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আমাকে দিয়ে অপহরণের মামলা করায়। কারও বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমার মেয়ের মৃত্যুরহস্য উদঘাটন হোক এটাই চাই।"
চারদিন পর ভাগীরথী থেকে উদ্ধার নিখোঁজ নার্সের দেহ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য - Body Recovered of Nurse - BODY RECOVERED OF NURSE
Nurse Dead Body Recovered at Bhagirathi: দেহ উদ্ধার হতেই যুবতী নার্সের মৃত্যু রহস্য আরও জোরালো হল। বুধবার রাতেই ভাগীরথী ব্রিজ থেকে তাঁকে গজ্ঞায় ঝাঁপ দিতে দেখেন এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। তিনিই থানার কন্ট্রোল রুমে জানান। পরদিন মৃতের মা মেয়ের জুতো শনাক্ত করেন। কিন্তু যদি ওই নার্স ঝাঁপ দেয় অর্থাৎ আত্মঘাতী হলে জুতো খুলতে যাবে কেন? উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷
Published : Sep 8, 2024, 5:14 PM IST
ঘটনার বিস্তারিত-পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্স বছর দু'য়েক থেকে বহরমপুরের এক নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন। স্বর্ণময়ী বাজার এলাকায় একটি মেস ভাড়া করে থাকতেন। সপ্তাহে এক বা দু'দিন বাড়ি যেতেন। গত বুধবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মা'কে শেষ ফোন করে জানান, তিনি ডিউটি সেরে মেসে ফিরেছেন। পরদিন বহরমপুর থানা থেকে মৃতের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার রাতেই ভাগীরথী ব্রিজ থেকে তাঁকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে দেখেন এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক। তিনিই থানার কন্ট্রোল রুমে জানান। পুলিশ, এসে ব্রিজ থেকে একজোড়া জুতো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরদিন মৃতের মা মেয়ের জুতো শনাক্ত করেন। পুলিশের তরফে মা'কে জানানো হয়, মেয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
- মৃতের মা বলেন, "মেয়ে আমাকে ফোনে জানায় সে মেসে ঢুকছে। ব্রিজে কীভাবে গেল?" এরপরপই বহরমপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
- বহরমপুর টাউন থানার ওসি ইন্দ্রনীল পাল বলেন, "কী হয়েছিল তার ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।"
- এদিকে মা বলছেন, তিনি মিসিং ডাইরি করতে চেয়েছিলেন। মেয়েকে কেউ কোনওদিন ভয় দেখিয়েছে বা কারও সঙ্গে ভালোবাস ছিল কিনা তা তিনি জানেন না। শুধু মৃত্যুর কিনারা চাই।" মৃতের বাবা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। মেয়ের মৃত্যুর খবরে ফিরে এসেছেন।
- বাবার কথা, "মেয়েকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু এই ঘটনার কিনারা হোক। যদি ও ঝাঁপ দেয় অর্থাৎ আত্মঘাতী হলে জুতো খুলতে যাবে কেন? স্বর্ণময়ীর এলাতকার মেস থেকে প্রায় 4 কিমি দূরে ব্রিজে কীভাবে এল? তাঁকে ঝাঁপ দিতে দেখা যুবকই বা কে? নার্সিংহোম কেন অপহরণের কেস করাতে গেল? একাধিক প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে।