শিলিগুড়ি, 16 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চেয়ে রাজ্যের সর্বত্র অবস্থান, বিক্ষোভে নামল বিজেপি ৷ আরজিকর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজ্য ৷ এর মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা যেন তাতে ঘৃতাহুতি দিল ৷ স্বাধীনতার পর বাংলায় যত জন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে কলঙ্কিত বলে অভিহিত করলেন বিজেপি বিধায়ক ৷ এদিন ধরনা অবস্থানের পাশাপাশি চাক্কা জাম কর্মসূচিও পালন করে বিজেপি ৷
শুক্রবার ওই দাবিতে শিলিগুড়িতে অবস্থান বিক্ষোভে বসল বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা ৷ এদিন শিলিগুড়ির মহাত্মা গান্ধি চকে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিলিগুড়ি সাংগঠনিক শাখা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা, পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন-সহ অন্যরা ৷
এদিন শঙ্কর ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, "যে নৃশংসভাবে আরজিকরের মহিলা চিকিৎসককে শারীরিক অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে, পরে হাসপাতালে যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, তার জন্য রাজ্যের পুলিশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত ৷"
তিনি আরও বলেন, "এটা মনে করা দরকার কামদুনি, পার্ক স্ট্রিট, কাটোয়া, মাটিগাড়া, কোচবিহার, আরিয়াদহের মতো ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ পর্যন্ত শাস্তি পায়নি ৷ যাঁরা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁরা আজও বিচার পাননি ৷ স্বাধীনতার পর রাজ্যের নিকৃষ্টতম মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যের সব থেকে কলঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রীর বিদায়ের সময় হয়ে গিয়েছে ৷ রাজ্যের মা, বোনেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করুন ৷ আমরা পাশে আছি, আর থাকব ৷" এদিন রাজ্যজুড়ে 12 ঘণ্টার বনধ ডেকেছে এসইউসিআই ৷
শুক্রবার রাজ্য নেতৃত্বের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী চাক্কা জাম করে বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নেতা কর্মী সমর্থকরা ৷ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা ৷ শিলিগুড়ির হাসমি চক, শিবমন্দির, তিনবাত্তি মোড়-সহ একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ৷ টানা প্রায় দুঘণ্টা চলে পথ অবরোধ ৷
এই বিষয়ে অরুণ মণ্ডল বলেন, "আরজি করের ঘটনার পর আমাদের একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ৷ একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে এসব ঘটনা ঘটছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী দিয়ে রাজ্য চালাতে চাইছেন ৷ আরজিকরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি আর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেই আমাদের এই পথ অবরোধ করছি ৷ "