দুর্গাপুর, 17 মার্চ:লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে শনিবার। আর লোকসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গাপুর মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠল। বিজেপি নেত্রীর দোকানে আগুন লাগানোর ঘটনায় অভিযুক্ত রাজ্যের শাসক শিবির। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পালটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তৃণমূলের।
দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বরের জামাইপাড়া এলাকায় পাণ্ডবেশ্বর 1 মণ্ডলের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রিনা ঠাকুরের দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। বিজেপি নেত্রী রিনা ঠাকুরের অভিযোগ, "তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজেপি করায় হুমকিও দিয়েছে আমাকে। শনিবার রাতে আমার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।"
যদিও জেলার তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, "ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল এই ধরনের কাজ করতে পারে না। তৃণমূল কর্মীরা প্রতি মুহূর্তে মানুষের পাশে থাকে। ভারতীয় জনতা পার্টি হল ভারতীয় ঝামেলা পার্টি। এরা নিজেরাই এসব করে ভোটের আগে হাওয়া গরম করতে চাইছে।"
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, "এই ঘটনাটিতেই প্রমাণিত হয় যে বিজেপিকে কতটা ভয় পেয়েছে তৃণমূল। সামান্য একজন মহিলা কর্মী তাঁর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল। আর পুলিশ নির্বিকার। ওরা এখন থেকে হুমকি দিয়ে চমকাচ্ছে যাতে মানুষ ভোট দিতে না-পারে। সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। তবে পুলিশ যদি ব্যবস্থা না-নেয় তাহলে কীভাবে এই ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় তা আমরাও জানি।"
আরও পড়ুন:
- বর্ধমান দেওয়াল লিখন ঘিরে বি টিম তরজা, বিজেপি-সিপিএম-তৃণমূল সরব একে অপরের বিরুদ্ধে
- রণক্ষেত্র পৌরনিগমের অধিবেশন, ফিরহাদের সামনেই বিজেপি-তৃণমূল কাউন্সিলরদের হাতাহাতি
- ধূপগুড়ি দখলে মরিয়া বিজেপি-তৃণমূল-সিপিএম, প্রচারে চাঁদের হাট সবপক্ষের