কলকাতা, 18 এপ্রিল: দেশ ও রাজ্যকে বাঁচাতে বিজেপি এবং তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটের আগের সন্ধ্যায় বামফ্রন্টের ইস্তাহার প্রকাশ করে এমনটাই আহ্বান ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। তিনি বলেন, "ভারতের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে বিজেপিকে পরাস্ত করুন। রাজ্যকে বাঁচাতে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকেও পরাস্ত করুন। গত দশ বছরে ভারতের সংসদীয় ব্যবস্থা সব থেকে বেশি আক্রান্ত। সংসদের অধিবেশনের দিন বেনজিরভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’দিনে 146 জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আলোচনা ছাড়া একাধিক বিল পাশ করানো হয়েছে। দেশকে বিরোধীমুক্ত করার জন্য বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন, জাতীয় সুরক্ষা আইন, অর্থ পাচার রোধ আইন কঠোরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "বিজেপি মনুবাদী বলে দলিতদের উপর ক্রমাগত আক্রমণ বেড়েছে। আরও বাড়বে। দলিত এবং আদিবাসী মহিলাদের অগ্রগতির পথে বাধা বিজেপির মনুবাদি দর্শন। দেশের বৃহত্তম দুর্নীতি নির্বাচনী বন্ড। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। এটা বৃহতম দুর্নীতি। দেশের অর্থমন্ত্রীর স্বামীও তাই বলেছেন। বিজেপি রাঘব বোয়াল। এই দুর্নীতিতে ওরা সবার আগে। তার সহযোগী এ রাজ্যের তৃণমূলও কম যায় না। দুর্নীতির হাব তৈরি করেছে।"
তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে একমাত্র বিকল্প হতে পারে বামপন্থী দলগুলি ৷ সংসদে বামপন্থীদের সংখ্যা বাড়াতে এবং জনগণের কণ্ঠ তুলে ধরতে বামপন্থীদের নির্বাচিত করুন। এখন কারা বাংলা বিরোধী? অ-বাঙালি হলেই বাংলা বিরোধী? তাঁদের যাঁরা হেয় করে আমরা তাঁদের তীব্র ধিক্কার জানায়। বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বললে কেউ শত্রু হয়ে যায় না। সকলেই আমাদের ভাই-বন্ধু।
এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, "নানা বিষয় নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন। কিন্তু, তিনি বিজেপি পরিচালিত সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। আজকে যাদের বহিরাগত বলছেন তাঁদের সঙ্গে নির্বাচন করিয়েছিলেন । প্রথমে 1998 ও 1999 সালে এবং পরে 2003 ও 2004 সালে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন মমতা । বিজেপির টিকিটে জিতে তপন শিকদার, জুলু মুখোপাধ্যায়রা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। এগুলো ভুলে গেলে হবে না। রাজ্যে হাত ধরে টেনে এনেছেন বিজেপিকে।"