চিলাপাতা, 19 ডিসেম্বর: বিধাননগর পুরনিগমের 9 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর খোঁজে আলিপুরদুয়ারে চিলাপাতার এক বিলাসবহুল রিসর্টে হানা দিল বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশের বিশেষ দল ৷
বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের একটি বিশেষ দল এসে পৌঁছয় আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতার উট বার্ন রিসর্ট নামের এক বিলাসবহুল রিসর্টে ৷ সেখানে তিনটি রিসর্টের প্রায় 20টি রুমে তল্লাশি চালান তিন সদস্যের এই পুলিশের দল ৷ প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান ৷ কথা বলেন প্রত্যেকটি স্টাফ কর্মচারির সঙ্গে ৷ খতিয়ে দেখা হয় রিসর্টের রেজিস্টারও ৷ শেষে খালি হাতেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশের দল ৷
কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর সন্ধানে রিসর্টে পুলিশ (ইটিভি ভারত) অভিযোগ, এই রিসর্টেরই একপ্রকার মালিক সমরেশ চক্রবর্তী ৷ এই রিসর্টে হাইড আউট হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগেই বুধবার বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশের দল তল্লাশিতে আসে আলিপুরদুয়ারে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রিসর্টের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গরমিল রয়েছে ৷ সাড়ে চার বিঘে জমির উপরে তৈরি এই বিলাসবহুল রিসর্ট-এর জমির মালিক স্থানীয় তাপস চিক বড়াইক ৷ তাঁর অভিযোগ, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মাত্র পনেরো হাজার টাকা প্রতি বিঘা প্রতি দরে তাঁর কাছ থেকে কার্যত ভয় দেখিয়ে বেআইনিভাবে এই জমি কিনে নেন ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি বলে একটি সংস্থা ৷
পরে সেই সোসাইটির থেকে কিনে নেন আরিয়ান্স অ্যান্ড গ্রুপ নামের একটি কোম্পানি ৷ জানা যায়, সেই আরিয়ানস অ্যান্ড গ্রুপেরই একপ্রকার মালিক সমরেশ চক্রবর্তী ৷ প্রশ্ন উঠছে, কী করে দেশের আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এক আদিবাসীর থেকে কেউ জমি কিনতে পারে ৷