ভাতার, 18 নভেম্বর: বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে দু'জনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। অভিযোগ, ভাতারে তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে না জানিয়েই বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন। সেই ঘটনার জেরে চলছিল মান-অভিমানের পালা। সেই অভিমান মেটাতে বিধায়ক বলেন, "অনেকে বলে আমি নাকি তাঁর (অশোক হাজরা) টাকায় বিধায়ক হয়েছি। এতে ক্ষতি কী আছে ? এটা আমাদের স্বামী-স্ত্রী'র ঝগড়া।"
বেশ কিছুদিন ধরেই ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও ভাতারের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরার গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে ঠান্ডা লড়াই। তৃণমূল সূত্রে খবর, অশোক হাজরার সঙ্গে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর লড়াই দিনে দিনে বাড়ছে। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোক হাজরার প্রভাব যথেষ্ট। আর এই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল চলছে বলে অভিযোগ ৷ যা প্রকট হয় চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিজয়া সম্মিলনীর সময়।
ভাতারের বিধায়কের (ইটিভি ভারত) ওই দিন তৃণমূলের তরফে ভাতার বাজারের হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয় ৷ দলের এক পক্ষের অভিযোগ, অশোক হাজরাকে না জানিয়েই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিধায়ক ৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা ৷ এমনকী, বিধায়ক ও ব্লক সহ-সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে অনুষ্ঠান শুরু হতেও বেশ খানিক্ষণ সময় লেগে যায় ৷
বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী দলের কর্মীদের শান্ত করতে গেলে, তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দলের কর্মীরা তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান ৷ এদিকে, অশোক হাজরাকে না জানিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করায়, প্রথমে মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকেও ৷ এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ ৷ পরে অবশ্য অশোককে বুঝিয়ে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় ৷
রবিবার দলীয় কর্মীসভায় গিয়ে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, "তাঁর (অশোক হাজরা) সঙ্গে আমার কিসের ঝগড়া ? এটা তো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। যারা এটা নিয়ে লাফাচ্ছে তাঁরা ভুল করছেন। অনেকে আমাকে বলে, আমি নাকি ওর টাকায় বিধায়ক হয়েছি। তারা জানে না, সে আমার আত্মীয় ৷ তাই সে আমাকে টাকা দিয়েছে। এতে ক্ষতি কী আছে ?" যদিও এই বিষয়ে অশোক হাজরা মুখ খুলতে চাননি।