শান্তিনিকেতন, 20 জুলাই: সংরক্ষণ ইস্যুতে আন্দোলন, বাংলাদেশে মৃত্যু মিছিল । উত্তাল পরিস্থিতিতে পড়শি দেশে বন্ধ ইন্টারনেট সংযোগ । স্বাভাবিকভাবেই পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়াদের ৷ হাতে মোমবাতি, ব্যানার নিয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে গাইতে শান্তিনিকেতনের পথে নামলেন ওপার বাংলার পড়ুয়ারা ৷ দেশের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হোক, এই কামনা তাঁদের ৷
রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে পথে নামলেন বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়ারা (ইটিভি ভারত) পড়শি দেশে পরিস্থিতি সামলাতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে সরকার । ফলে পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়ারা ৷ দীপা সাহা, শানজিদা পমি, সূচনা সিনহা, শ্রাবণী সায়ন্তনীরা বলেন, ‘‘কোনওভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না ৷ শুনেছি প্রতিবাদীদের অনেকেই আহত ৷ কিন্তু, কিছুই জানতে পারছি না ৷ আমাদের দাবি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক ৷ সোনার বাংলা আবার সোনার হোক ৷ এই রক্তপাত বন্ধ হোক ৷ আর কত, আর দেখতে পারছি না আমরা ৷’’
ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, মৃতের সংখ্যা ছুঁল 25
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যহত বাংলাদেশে ৷ প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পথে নামেন । ধীরে ধীরে আন্দোলন বৃহত্তর আকার ধারণ করে ৷ ঢাকা-সহ রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন । পরিস্থিতি সামাল দিতে আধা-সামরিক বর্ডার গার্ড (বিজিবি) নামিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার ৷ অভিযোগ, আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরাও হামলা চালিয়েছে ৷ ফলে ক্রমশ আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি ৷
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার লক্ষ স্নাতকদের জন্য প্রায় 3 হাজার সরকারি চাকরি খোলা হয় । সরকারি চাকরির 56 শতাংশ বর্তমান কোটা পদ্ধতিতে সংরক্ষিত । সর্বাধিক 30 শতাংশ 1971 সালের মুক্তিযোদ্ধাদের বংশধরদের জন্য, 10 শতাংশ অনগ্রসর প্রশাসনিক জেলাগুলির জন্য, 10 শতাংশ মহিলাদের জন্য, 5 শতাংশ জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য এবং এক শতাংশ শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আন্দোলনকারীদের দাবি, এই সংরক্ষণের ফলে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চাকরিতে যথেষ্ঠ সুযোগ পান না ৷
রক্তাক্ত ওপার বাংলা ! আতঙ্কিত বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি পড়ুয়ারা