ক্যানিং, 31 অগস্ট: গণ আন্দোলনের জেরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশে ৷ এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করতে সেদেশের বহু নাগরিক ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে শিশু-সহ মোট 11 জনকে গ্রেফতার করা হল ৷ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের গ্রেফতার করল সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ ৷
দেশ ছেড়ে সুন্দরবনে আশ্রয়, (ইটিভি ভারত) শুক্রবার বিকেলে থেকে অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে প্রবেশ করেন বাংলাদেশের নাগরিকরা । এরপর প্রতিদিনের মতোই জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখতে পান বন দফতরের কর্মীরা । বন দফতরের কর্মীরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে উঠে আসে আসল সত্য । বাংলাদেশের নাগরিকরা জানান, জামাত ও বিএনপি'র মধ্যে গোলমালের জেরে পরিস্থিতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর তাই নিজেদের পরিবারকে রক্ষা করতে দালালদের মোটা টাকার বিনিময়ে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেছেন।
দালাল চক্রের বেশ কয়েকজন তাঁদের নৌকায় করে বাংলাদেশের জলসীমানা পার করিয়ে এ দেশের জল সীমানার মধ্যে এনে সুন্দরবনে নামিয়ে দেন । এরপরই বন দফতরের হাতে আটক হন তাঁরা । বন দফতরের পক্ষ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তুলে দেওয়া হয় সুন্দরবন পোস্টাল থানার পুলিশের হাতে । ধৃতদের মধ্যে 5 জন মহিলা এবং 1 জন পুরুষ রয়েছে ৷
প্রত্যেককে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় ৷ এদের মধ্যে ধৃত ব্যক্তিকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশ । সেই আবেদনে সায় দিয়েছে আদালত ৷ 5 শিশুকে বারুইপুর হোমে পাঠানো হয়েছে ৷ সন্তানদের সঙ্গেই সেখানে পাঠানো হয়েছে 5 মহিলাকে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার করেয়া থানা এলাকায় । এই বিষয়ে খোঁজ নিতে ইতিমধ্যেই ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসকে যাবতীয় ঘটনা জানানো হয়েছে ৷ জেলাশাসক মারফত স্বরাষ্ট্র দফতরকেও ঘটনাটি জানানো হয়েছে ৷ বাংলাদেশে অশান্তির শুরু হওয়ার পর বঙ্গের বেশ কিছু নদীপথে ইতিমধ্যেই নৌবাহিনী এবং উপকূল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে । তা এড়িয়ে কীভাবে অনুপ্রবেশকারীরা এদেশে ঢুকে পড়লেন তা খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ।