কলকাতা, 28 মে: পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিমের দেহাংশ ৷ তাও তদন্ত নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশিদ ৷ এই তদন্তে তিনি বাংলার গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির সঙ্গে কাজ করে খুশি ৷ তিনি বলেন, "সিআইডি তো কাজ করছে ৷ আজও আমরা নিকাশি নালা ভাঙার জন্য বলেছি ৷ হাতিশালার কাঠের ব্রিজের খালে তল্লাশির জন্য বলেছি ৷" ইতিমধ্যে ওই খালে ডুবুরি নামানো হয়েছে ৷ সেতুর উপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানো হয়েছে ৷
বাংলাদেশের সাংসদআনওয়ারুল আজিম খুনেতাঁর ফ্ল্যাটের কমোডের সঙ্গে যুক্ত নিকাশি নালা ভাঙার অনুরোধ জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুর অর রশিদ ৷ তিনি বলেন, "ফ্লাশ করার পরে যে নিকাশি নালা, সেটা ভাঙার অনুরোধ করেছি ৷ আশা করি, আজ এই কাজগুলি করবে ৷ হাতিশালা ব্রিজের কাছে যে ক্যানেলটা রয়েছে, সেখানেও তল্লাশি চালাতে অনুরোধ করেছি ৷ সিআইডি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে লাশের অংশবিশেষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে ৷"
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সাংসদ খুনে 5 কোটির সুপারি ! অনুমান সিআইডি'র
গত রবিবার, 16 মে সকালে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন-অর-রাশিদ ৷ বাংলাদেশের 'এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল অফেন্স সেকশনের' আওতায় বাংলার গোয়েন্দা বিভাগের সঙ্গ এই তদন্ত করছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷
গত 22 মে বুধবার সকালে প্রথম জানা যায়, বাংলাদেশের নিখোঁজ সাংসদকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে ৷ সেখানে ফ্রিজে রক্তের দাগ পান তদন্তকারীরা ৷ এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক তথ্য উঠে আসে ৷ জানা যায়, আনওয়ারুল আজিমকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে সংজ্ঞাহীন করা হয় ৷ তারপর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয় ৷ পরে মুম্বই থেকে ডেকে আনা বাংলাদেশি কসাই জিহাদকে দিয়ে সাংসদের দেহ টুকরো করা হয় ৷ সেই দেহাংশগুলিতে রাসায়নিক মিশিয়ে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখা হয় ৷ পরে গভীর রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের একটি খালে সেই দেহাংশ ফেলে দেয় অভিযুক্তরা ৷ যদিও, এখনও সাংসদের দেহাংশ উদ্ধার করা যায়নি ৷