বোলপুর, 24 সেপ্টেম্বর: নিজের চেয়ারে বসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বীরভূমের দাপুটে নেতা বলেই পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল ৷ দু'বছর আগে অগস্টের এক সকালে নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ এরপরও আসানসোলের জেল ৷ সেখান থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে ঠাঁই ৷
মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে নিজের কার্যালয়ে কিছুটা সময় কাটালেন অনুব্রত ৷ নিজের পুরনো চেয়ারে বসেই আবেগী হয়ে পড়েন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ৷ ক্যামেরায় ধরা পড়ল তাঁর কান্নার দৃশ্য ৷ এই দু'বছরে তাঁর শরীর যে আরও ভেঙেছে, তার ছাপ স্পষ্ট ৷ কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি হুইল চেয়ারের সাহায্য নিয়েছিলেন ৷ এদিনও মেয়ে সুকন্যা তাঁকে ধরে ছিলেন ৷
তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল নিজের কার্যালয়ে (ইটিভি ভারত) অনুব্রতকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে তাঁর উপর পুষ্পবৃষ্টি করতে থাকেন দলের কর্মী, সমর্থকরা ৷ গাড়ি থেকে নেমে অনুব্রত প্রথমেই সবাইকে আসন্ন দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান ৷ তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন ৷ শারদীয়ার শুভেচ্ছা ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসি, ঠিক যেমন দিদি আমায় ভালোবাসে ৷ তাঁকে সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভালোবাসে ৷ শরীরের অবস্থা খুব খারাপ ৷ সম্ভব হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করব ৷"
দিদির প্রিয় 'কেষ্ট' যে ছাড়া পাবে এমন কথা নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে তারাপীঠে প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, "কেষ্টকে ইলেকশনের পর ছেড়ে দেবে ৷" তা সত্যি হল লোকসভা ভোট শেষে প্রায় তিন মাসের মধ্যে ৷
এলাকার দাপুটে নেতাকে স্বাগত জানাতে নিচুপট্টির রাস্তায় ভিড় করেছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা ৷ সবুজ আবির খেলেছেন ৷ পুজোর আগেই যেন পুজোর আনন্দ ফিরেছে এলাকায় ৷ অনুব্রতর প্রিয় নকুলদানা বিলিয়েছেন ঘাসফুলের কর্মীরা ৷ অনুব্রত মণ্ডলের কনভয় এলাকায় ঢুকতেই বেজে উঠল শাঁখ, উলু ৷ শুরু হল পুষ্পবৃষ্টি ৷