পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বাড়িতে বোমাবাজির পর অনুব্রত ও কাজল ঘনিষ্ঠ নেতারা পেলেন সশস্ত্র দেহরক্ষী - TMC LEADERS GET ARMED BODYGUARDS

দু'জনকেই এদিন দেখা গেল সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে ৷ যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ৷

TMC LEADERS GET ARMED BODYGUARDS
তৃণমূল নেতারা পেলেন সশস্ত্র দেহরক্ষী (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 24, 2025, 6:32 PM IST

বোলপুর, 24 ফেব্রুয়ারি: অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকেই এবার সশস্ত্র দেহরক্ষী দেওয়া হল ৷ 4 জানুয়ারি কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামন শেখের বাড়িতে বোমাবাজি হয় ৷ 16 ফেব্রুয়ারি কঙ্কালীতলা অঞ্চলের আর এক তৃণমূল নেতা আলেফ শেখের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। এই দু'জনকেই এদিন দেখা গেল সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে ৷ যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ৷

বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "তৃণমূল নেতারা নিজের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে লিপ্ত ৷ বীরভূমে তৃণমূল নেতাদের নিরাপত্তা দিতে দিতে অর্ধেক পুলিশ শেষ ৷ তাই সাধারণ মানুষ পরিষেবা পায় না ৷ বাড়ছে চুরি, ছিন্তাই, দুষ্কৃতীরাজ।" তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিউদ্দিন ওরফে মামন শেখ। এই পঞ্চায়েতের দখল নিতে মরিয়া বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখের অনুগামীরা ৷ এই নিয়ে শুরু হয়েছিল ঠান্ডা লড়াইও ৷ তবে অনুব্রত মণ্ডল যখন তিহাড়ে বন্দি ছিলেন, তখন এই মামন শেখ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামী ছিলেন ৷

তৃণমূল নেতারা পেলেন সশস্ত্র দেহরক্ষী (ইটিভি ভারত)

অনুব্রত ফিরতেই তিনি ফের তাঁর শিবিরে নাম লেখান ৷ এই ঠান্ডা লড়াইয়ের মাঝে 4 জানুয়ারি শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত লায়েকবাজারে মামন শেখের বাড়িতে বোমাবাজি হয় ৷ নিরাপত্তার অভাববোধ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন উপপ্রধান মামন। অন্যদিকে, কাজল শেখের অনুগামী হিসাবে পরিচিত মনোয়ার হোসেন ওরফে আলেফ শেখ। তাঁকে কাজল শেখ উপপ্রধানের পরিবর্তে কঙ্কালীতলা অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ৷

উপপ্রধান মামন শেখের পাড়াতেই বাড়ি কাজল অনুগামী আলেফ শেখের। উপপ্রধানের বাড়িতে বোমাবাজির প্রায় দেড় মাসের মাথায় 16 ফেব্রুয়ারি আলেফ শেখের বাড়িতে বোমাবাজি হয় ৷ তিনিও নিরাপত্তার অভাববোধ করে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এদিন অনুব্রত অনুগামী মামন শেখ ও কাজল অনুগামী আলেফ শেখকে সশস্ত্র দেহরক্ষী দেওয়া হয়েছে। দু'জনেই একজন করে দেহরক্ষী পেয়েছেন ৷

এই প্রসঙ্গে কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামন শেখ বলেন, "প্রাণ সংশয়ের মধ্যে ছিলাম ৷ আপনারা দেখেছেন যে আমি পঞ্চায়েত দফতরে যেতে পারছিলাম না ৷ আমার বাড়িতে বোমাবাজি হয়েছে ৷ খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ সে সবই পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম ৷ আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এবার পঞ্চায়েতে যাব।"

বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামী হিসাবে পরিচিত তৃণমূল নেতা আলেফ শেখ বলেন, "কিছুদিন আগে আমার বাড়িতে বোমা পড়েছিল ৷ আমি খুব আতঙ্কিত ছিলাম ৷ তার জন্য সিকিউরিটি পেয়েছি। আমার বাড়িতে বোমা মারা ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷ পুলিশ প্রশাসন বিষয়টা দেখছে।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details