পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, টাকা ঢুকছে বাচ্চাদের অ্যাকাউন্টে ! - Krishak Bondhu Scam

Krishak Bondhu Scam: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদার হরিশচন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকে ৷ সেখানকার শতাধিক কৃষকের টাকা বাচ্চাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ ভুক্তভোগী কৃষকদের ৷

ETV BHARAT
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 21, 2024, 10:01 PM IST

মালদা, 21 জুন: কৃষক বন্ধুর টাকা নিয়ে নয়া দুর্নীতির গন্ধ ৷ কৃষকদের টাকা ঢুকছে বাচ্চাদের অ্যাকাউন্টে ৷ এক বা দু’জন নয়, শয়ে শয়ে বাচ্চার অ্যাকাউন্টে ঢুকছে এই টাকা ৷ অভিযোগ উঠেছে এর পিছনে সক্রিয় রয়েছে দালালচক্র ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকে ৷ কিন্তু, এত কিছু হলেও প্রশাসনের কাছে নাকি কোনও খবর নেই ৷ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলের তরফে পালটা অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিজেপির লোক প্রশাসনের ভিতরে ঢুকে পড়েছে ৷ তারাই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে ৷ বিষয়টি জানার পর তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জয়েন্ট বিডিও ৷

মালদায় কৃষক বন্ধু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের তেলজান্না স্লুইস গেট এলাকার শতাধিক চাষি কৃষক বন্ধুর টাকা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ ৷ অথচ নির্দিষ্ট জমির ভিত্তিতে তাঁদের কৃষক বন্ধুর আইডি দিয়েছে প্রশাসন ৷ তাহলে কেন তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে না ? স্থানীয় সিএসপিতে খোঁজ নিয়ে কৃষকরা জানতে পারেন, তাঁদের টাকা বাচ্চাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে ৷ স্থানীয় দালালরাই এই কাজ করছে বলে অভিযোগ ৷

এমনই এক বঞ্চিত কৃষক মহম্মদ মনসুর আলি বলছেন, "কৃষক বন্ধুর টাকা পকেটে ঢোকাতে এই এলাকায় দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ তারা বাচ্চাদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলছে ৷ এক একজন দালালের কাছে এক থেকে দেড়শো বাচ্চার অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৷ এই অ্যাকাউন্ড কীভাবে খোলা হচ্ছে ? নাবালকদের তো জমি নেই ৷ জমি বড়দের নামে ৷ তাহলে বড়রা কেন এই টাকা থেকে বঞ্চিত ? আমার ধারণা, এই কাজে প্রশাসনের একাংশও জড়িত ৷ বিডিও অফিস-সহ উপরমহলেও এমন দালাল রয়েছে ৷"

আরেক কৃষক আখতার হোসেন বলেন, "বাচ্চাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলেও, আমাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে না ৷ এমন দুর্নীতির কথা দিন পনেরো আগে জানতে পেরেছি ৷ কারা এর পিছনে জড়িত, সেটা আমরা জানতে চাই ৷ সরকার টাকা দিচ্ছে ৷ কিন্তু আমরা পাচ্ছি না ৷ আমাদের টাকা কোথায় গেল ?"

হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের কৃষি আধিকারিক প্রভাত উৎপল আচার্য জানাচ্ছেন, "এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও কৃষক অভিযোগ জানাননি ৷ এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তবে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানান ৷ আমরা অবশ্যই পদক্ষেপ করব ৷" অন্যদিকে জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদি লামার বক্তব্য, "আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরকে গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে বলব ৷ তারপরেই এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে ৷"

প্রশাসনের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিত কৃষকরা ৷ কিন্তু, এনিয়ে শাসকদল কী বলছে ? ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মনিরুল আলমের মন্তব্য, "এমন ঘটনার কথা জানতাম না ৷ কেউ অভিযোগও করেনি ৷ অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব ৷ এই ঘটনায় প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আসলে লোকসভা ভোটে এবার দেখেছি, পোস্টাল ব্যালটের বেশিরভাগ ভোট পেয়েছে বিজেপি ৷ অর্থাৎ, প্রশাসনের মধ্যে বিজেপির লোকজনই বসে রয়েছে ৷ তারাই এসব কাজ করতে পারে ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details