জলপাইগুড়ি, 25 সেপ্টেম্বর: রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনেই জেলার নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশাসনিক হেনস্তার অভিযোগ ৷ এই অভিযোগ করলেন স্বয়ং মহিলা থানার আইসি ডিক্কি লামা ভুটিয়া । পাশাপাশি তাঁর দাবি, জেলার মহিলা সুরক্ষা আধিকারিককে কেউ চেনেন না । এই কথা শোনার পরই মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে সচেতেনতায় সভায় এসে বিস্ময় প্রকাশ করলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ।
মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে ডিক্কি লামা ভুটিয়া বলেন, "আমাদের থানায় বাড়ি থেকে বিতারিত হয়ে এক মহিলা এসে জানান, তাঁকে পরিবার বাড়িতে রাখতে রাজি নয় । এমন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ওয়ান স্টপে নিয়ে যাই আমরা ৷ তবে সেখানে গেলেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি । উলটে হেনস্তা হতে হয়েছে । এমনকি মহিলার কোনও চিকিৎসা না-করিয়ে বা কোনও কাগজ না-দেখেই আমাদের বলে দেওয়া হয় তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন । শুধু তাই নয়, অসম থেকে একটি মেয়েকে উদ্ধার করে এসডিও কোর্টে পাঠালে উলটে আমাকেই চিঠি করা হয় ৷ বলা হয়, কোন আইনে মেয়েটিকে সেখানে পাঠানো হয়েছে । এমন অবস্থায় আমরা কী করব !"
এই পরিস্থিতিতে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে উপায় বাতলে দিতে বলেন আইসি । এ দিকে সভাতে আইসির প্রশ্নের উত্তরে জেলা চাইল্ড প্রোটেকশন অফিসার সুদীপ রায় জানান, "ওয়ান স্টপ কেন্দ্রে আমরা পাঁচ দিন মহিলাকে রাখতে পারি । সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঁচটি বেড রাখা আছে ।" কিন্তু মহিলা থানার আইসির প্রশ্নের সঠিক কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি ।