চন্দ্রকোনা, 23 অক্টোবর:বৃষ্টি দুর্যোগে ভেঙে পড়েছে একমাত্র আস্তানা ৷ নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই ৷ অবশেষে ভিটে মাটি হারিয়ে সরকারি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন চন্দ্রকোনার ভাণ্ডারিয়া গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির ৷ কয়েক মাস ধরে স্কুল ঘরেই চলছে তাঁদের দিনযাপন । স্কুল খুললে কোথায় ঠাঁই নেবেন, জানেন না ৷ সেই চিন্তায় কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বৃদ্ধা । প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন বৃদ্ধ দম্পতি ।
একটানা বৃষ্টির কারণে পুজোর আগে বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে বাংলার একাধিক জেলা ৷ তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরও ৷ বন্যার কারণে জলের তলায় চলে যায় জেলার একাধিক গ্রাম ৷ রাস্তা-ঘাট, চাষের জমি সবকিছুই জলের নীচে চলে যায় ৷ বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে একাধিক মাটির বাড়ি, ভেঙে পড়ে দুখিরাম মণ্ডলের বাড়িও ৷ তারপর স্থানীয়রা সেই ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে আসবাবপত্র উদ্ধার করে প্রাথমিক স্কুলে নিয়ে আসেন তাঁদের ৷ সেই থেকে স্কুলেই রয়েছেন দুখিরাম মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী ৷
বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে-বৌমাও রয়েছেন ৷ তাঁদেরও একই অবস্থা ৷ ঘর ভেঙে পড়ার পর বাপের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন বৌমা ৷ আর ছেলে দিনমজুরের কাজে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৷ বৃ্দ্ধর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবাস যোজনার প্রাপকের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত মেলেনি বাড়ি ৷ এমনকী, কোনও টাকাও হাতে পাননি বলে জানান দুখিরাম ৷