হরিহরপাড়া, 27 জানুয়ারি: সর্ষে খেত থেকে উদ্ধার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ। ধর্ষণ করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে, দুটি চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে বাড়ি থেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে খুনের আগে ওই নাবালিকার থেকে 28 হাজার টাকা হাতিয়েও নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের তীর প্রতিবেশী যুবকের দিকেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিহরপাড়া থানা এলাকায়। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, 6 দিন থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। মৃত কিশোরীর বয়স 14 বছর। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। হরিহরপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। দুই পরিবার বিয়ে মেনে নেবে না বলে ওই নাবালিকাকে বোঝায় ওই যুবক। অভিযোগ, ওই যুবক নাবালিকাকে বলেছিল, বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে চলে আসতে। কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবারের দাবি, 6 দিন আগে বাড়ি থেকে 28 হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায় ওই নাবালিকা। সেই মর্মে হরিহরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল।
শনিবার দুপুরে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে সর্ষের খেতে নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে ওই গ্রামেরই এক যুবক। গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল বলে দাবি। দুটি চোখও খুবলে নেওয়া হয়েছিল। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে টাকা হাতিয়ে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমে দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে।