পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

গণপিটুনির ঘটনায় নিজেকে নিরাপত্তা কর্মী বলে দাবি অভিযুক্তের - BOWBAZAR LYNCHING INCIDENT

BOWBAZAR LYNCHING INCIDENT: উদয়ন হস্টেলে গণপিটুনি ঘটনায় অভিযুক্তরা ভরা আদালতে নিজেকে নিরাপত্তারক্ষী বলে দাবি, পুলিশের তরফ থেকে জোরালো সওয়াল ৷ নিজে বাঁচতে নিরাপত্তা কর্মী বলে দাবি অভিযুক্তের ৷

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 11, 2024, 2:14 PM IST

Updated : Jul 11, 2024, 2:20 PM IST

BOWBAZAR LYNCHING INCIDENT
উদয়ন হস্টেলে গণপিটুনি (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 11 জুলাই: হস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করার ঘটনায় ধৃত 14 জনকে আজ পেশ করা হয়েছিল ব্যাংকসাল আদালতে। এক অভিযুক্ত আদালত নিজেকে হস্টলের নিরাপত্তারক্ষী বলে দাবি করেন ৷ তার নাম শঙ্কর বর্মণ (27)। পুলিশের দাবি শুধুমাত্র এই ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যই অভিযুক্ত নিজেকে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে বলে প্রমাণ করতে চাইছে শংকর বর্মন।

অভিযুক্তের দাবি, তিনি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করতেন ৷ উদয়ন হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব ছিলেন। ইরশাদ আলমকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল, সেদিনকে তাঁর মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছিল। সেই সময় আদালতে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, শংকর বর্মন নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে হস্টেলের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে দাবি করছেন ৷ যদিও ঘটনার সময় নিরাপত্তা রক্ষির কোনও দায়িত্বই তিনি পালন করেননি।

পুলিশের অভিযোগ ইরশাদ আলমকে যখন মারধর করা হচ্ছিল তখন তিনি কোথায় ছিলেন ৷ নিজেকে নিরাপত্তা রক্ষী বলে এই ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছে শংকর বর্মন। পুলিশের দাবি, যদি তিনি নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব পালন করতেন ও পুলিশকে হস্টেলের মধ্যে প্রবেশ করতে দিতেন তবে গণপিটুনির ঘটনা ঘটত না। শুধুমাত্র এই ঘটনা থেকে রেহাই পেতেই নিজেকে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে বলে প্রমাণ করতে চাইছে শংকর বর্মণ।

পুলিশের সওয়ালের পর ধৃতদের আইনজীবীর তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, ঘটনার দিন 14 জনের সঠিক কী ভূমিকা ছিল সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট নয় । ফলে তাদের প্রত্যেককে জামিন দেওয়া হক। দুই পক্ষের সাওয়াল জবাবের পর বিচারক 30 জুলাই পর্যন্ত 14 জনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন।

সম্প্রতি মোবাইল চোর সন্দেহে বউবাজার থানায় এলাকায় উদয়ন হস্টেলে এক গণপিটুনিতে ইরশাদ আলম নামে এক যুবকের মৃত্য়ু হয় ৷ এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ হস্টেলের 14 জন আবাসিককে গ্রেফতার করে। সকেলই পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে । শুধু অপরাধ নয় অপরাধ সংগঠিত করা এবং অপরাধের তথ্য প্রমাণ সমস্ত কিছুর লক্ষণই ছিল অভিযুক্তদের মধ্যে এমনটাই দাবি পুলিশের। কারণ যখন ইশারদ আলমকে বাঁচাতে গেলে পুলিশকে হস্টেলের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুরো বিষয়টি হস্টেলের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। সেই দেখেই তদন্ত শুরু হয় ৷

Last Updated : Jul 11, 2024, 2:20 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details