মালদা, 2 এপ্রিল: তাঁকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে ৷ লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে তাঁকে নাকি গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন তাঁরই ছেলে ৷ তাঁর স্বাক্ষরও নাকি জাল করা হয়েছিল ! মালদায় ফিরে এসব খবর কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ মালদার বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ৷ উলটে তিনি দাবি করেছেন, ছেলে ইশা খান চৌধুরী এবার ওই কেন্দ্রে নিশ্চিতভাবে জিতবেন ৷ তবে ছেলেকে জেতাতে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী না দেওয়ার জন্য তিনি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে চিঠি দিয়েছেন ৷ চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারও করেছেন নওশাদ ৷
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী ৷ দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিলেন ৷ একাধিকবার হাসপাতালে ভরতিও করতে হয়েছে ৷ কলকাতা থাকাকালীনই তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরীর নাম দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে কংগ্রেস ৷ অবশ্য তিনিই ছেলের নাম ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করে দলের কাছে পাঠিয়েছিলেন ৷
খানিকটা সুস্থ হয়ে অবশেষে মালদায় ফিরেছেন ৷ শারীরিক পরিস্থিতিতে তিনি ছেলের হয়ে প্রচারে আদৌ অংশ নিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ৷ ডালুবাবু বলছেন, "এই কেন্দ্রে আমি চারবার লড়েছি ৷ এবার আমি অসুস্থ ৷ দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলাম ৷ এই কেন্দ্রটি দেখাশোনার কেউ নেই ৷ বিধায়ক হিসেবে ইশা সুজাপুর কেন্দ্রে ভালো নাম করেছিল ৷ অনেকেই চায়, সে এলাকার সাংসদ হোক ৷ মানুষ ওকে চায়। আমিও চাইছি। ইশাকে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী করার ক্ষেত্রে সুবিধে হয়েছে ৷ এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই ৷ কে কী বলছে, কে কাকে দিয়ে কী বলাচ্ছে, এসব আমি জানি না ৷ মানুষ জানে, আমাদের বাড়ির সদস্য মানেই সৎ ৷"
আবু হাসেম খানের কথায়, "বিরোধী সরকার থাকলে কাজ করার সুবিধে অনেকটা কমে যায় ৷ এখানে তৃণমূল। কেন্দ্রে বিজেপি ৷ এতে কাজ করার সুযোগ পাওয়া কঠিন ৷ তবে বরকত'দা আর আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইশা ভালোই কাজ করবে ৷ এই পরিবারের কেউ টাকা কামাতে রাজনীতি করে না ৷ আমাদের স্বপ্ন, মানুষের সেবা করা ৷ এজন্যই 12 বার আমাদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ হয়েছেন ৷ আটবার বরকত'দা। চারবার আমি ৷ ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা 13 নম্বর ভোটেও জিতব ৷"