ব্যান্ডেল, 25 অগস্ট: জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের প্রধান ভোগ হিসেবে তালের বড়া দেওয়ার চল রয়েছে ৷ এই তালের বড়া সাধারণত বাড়িতেই বানান হয় ৷ কিন্তু, সময়ের সঙ্গে মা-ঠাকুমার হাতের সেই তালের বড়া এখন বাড়ির রান্নাঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে মিষ্টির দোকানে ৷ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেড়শো কিলো তাল দিয়ে বড়া তৈরি করেছে হুগলির ব্যান্ডেলের একটি মিষ্টির দোকান ৷ যেখানে পিস প্রতি 5 টাকা বিক্রি হচ্ছে তালের বড়া ৷ সঙ্গে তালের ক্ষীরও বিক্রি করছে তারা ৷
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে 150 কিলো তালের বড়া বানাল ব্যান্ডেলের এক মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান ৷ (ইটিভি ভারত) দোকানের মালিক শুভেন্দু মণ্ডল জানাচ্ছেন, এখন আর আগের মতো সব বাড়িতে তালের বড়া তৈরি হয় না ৷ লোকজনের সময়ের অভাব এবং চটজলদি হাতে পাওয়ার অভ্যেস এর মূল কারণ বলে মনে করেন তিনি ৷ ধৈর্য ধরে তালের বড়া বানানোয় সময় ব্যয় করতে চান না কেউই ৷ অধিকাংশই এখন হাতের কাছে রেডি-মেড জিনিস পছন্দ করেন ৷ তাই মা-ঠাকুমার হাতে তৈরি বাড়ির তালের বড়ার জায়গা হয়েছে মিষ্টির দোকানে ৷
তবে, মিষ্টির দোকানের স্বাদ কি টেক্কা দিতে পারছে বাড়ির তালের বড়া কে ? যে প্রশ্নে শুভেন্দু মণ্ডল স্বীকার করে নিলেন, তাঁরা চেষ্টা করলেও সেই স্বাদ আনতে পারবেন না ৷ যা মা-ঠাকুমার হাতের তালের বড়ায় ছিল ও আছে ৷ তবে, সুস্বাদু তালের বড়া তৈরির চেষ্টা তারা করছেন ৷ গত কয়েকবছর ধরেই জন্মাষ্টমীতে তাল দিয়ে নানান পদ তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন দোকানের মালিক ৷ এবার দেড়শো কিলো তাল দিয়ে বড়া ও ক্ষীর তৈরি হচ্ছে ৷ তালের বড়া 5 টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে ৷ সেখানে ক্ষীর 250 টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তাঁরা ৷
বনানী মজুমদার নামে এক ক্রেতা জানান, হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে বাড়িতে তালের বড়া বানান সম্ভব হয় না ৷ আর তার থেকেও বড় কথা, এর প্রস্তুতি ৷ রোজকার কাজকর্ম, সংসারের ঝক্কি ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার চাপ এখন বাবা-মায়ের উপরেও পড়ে ৷ সেই সবের থেকে সময় বের করে এমন জিনিস বানানোর ইচ্ছে খুব একটা করে না বলেই দাবি তাঁর ৷ এমনকী অধিকাংশ বাড়িতেই এখন আর তালের বড়া তৈরি হয় না বলে দাবি করলেন তিনি ৷ তবে, তাঁর এই যুক্তি অবশ্যই তর্ক সাপেক্ষ !