পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ছাত্রীকে অশালীন মেসেজ, ভাইরাল চ্যাট ! সাসপেন্ড কলকাতার নামী কলেজের অধ্যাপক - SEXUAL HARASSMENT CASE

ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷ যৌন হেনস্তার অভিযোগের ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের একাংশের ৷

SEXUAL HARASSMENT CASE
কলকাতার এক নামী কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 5, 2024, 6:00 PM IST

কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: কলকাতার এক ঐতিহ্যবাহী নামী কলেজের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ৷ হোয়াটসঅ্যাপে ছাত্রীকে অশালীন মেসেজ করার অভিযোগ উঠেছে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৷ লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে সাসপেন্ড করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ ৷

ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কলেজের ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের ওই অধ্যাপক তাঁকে প্রথম মেসেজ করা শুরু করেন ৷ শুরুতে সাধারণ কথা বার্তা বললেও, ধীরে ধীরে তা শালীনতার মাত্রা ছাড়ায় ৷ এমনকি তাঁর ছবিও চেয়ে পাঠান অভিযুক্ত অধ্যাপক ৷ ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, তিনি রোজ শরীরচর্চা করতে উত্তর কলকাতার একটি মাঠে যেতেন ৷ অধ্যাপকের কারণে সেখানেও যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷

তিনি জানান, ওই মাঠে মানিকতলা থানার এক আধিকারিক সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল ৷ অনেকদিন মাঠে না-যাওয়ায়, তিনি খোঁজখবর নেন ওই ছাত্রীর ৷ তখনই পুরো বিষয়টি আন-অফিসিয়ালি ওই আধিকারিককে জানান ওই তিনি ৷ কিন্তু, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও প্রমাণ তাঁর হাতে ছিল না ৷ ওই ছাত্রী ইটিভি ভারতকে বলেন, "স্যার আমাকে অশালীন মেসেজগুলি পাঠাতেন ৷ তারপর আমি সেগুলি দেখার পরেই উনি উলটোদিক থেকে চ্যাট ডিলিট করে দিতেন ৷ ফলে আমার কাছে কোনও প্রমাণ ছিল না ৷"

এক্ষেত্রে ছাত্রীকে সাহায্য করেছিলেন মানিকতলা থানার ওই আধিকারিক ৷ ওই ছাত্রী বলেন, "তাঁর পরামর্শেই হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজের ব্লু টিক বন্ধ করে দিয়েছিলাম ৷ যাতে কলেজের স্যার বুঝতে না-পারেন আমি মেসেজ দেখেছি কি না ৷ তারপর কয়েকটি চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে নিই ৷ সেগুলি আমি মানিকতলা থানা ওসি-কে দেখাই ৷ উনি আমার কাছে জানতে চান, আমি কী করব ৷ আমি বলেছিলাম, পুলিশে অভিযোগ করতে চাই না ৷ তখন উনি আমার কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন ৷"

এ নিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, "অধ্যক্ষও আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আমি লিখিত অভিযোগ করতে চাই কি না ৷ কিন্তু, একজন গুরুজন হিসেবে আমি সেই সময় কোনও অভিযোগ করিনি ৷ তবে জানিয়েছিলাম, উনি আবারও একই জিনিস করলে অবশ্য়ই অভিযোগ জানাব ৷ সেই সময় থেকে বহুদিন মেসেজ করা বন্ধ করে দেন স্যার ৷ কিন্তু, গত 22 নভেম্বর রাতে আবারও আমাকে মেসেজ করে অশালীন কথা বার্তা বলতে শুরু করেন ৷ আমার ছবি চাইতে থাকেন ৷"

ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, "আমি কোনও জবাব দিইনি ৷ কিন্তু, কয়েকদিন পরে দেখি ওঁর সেই সব চ্যাট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ৷ তাই আমি বাধ্য হয়ে কলেজে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷ আমি চাই ওঁর শাস্তি হোক ৷"

ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের ওই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করেছে ৷ ততদিন তিনি সাসপেন্ড থাকবেন, যতদিন না কলেজের গভর্নিং বডি বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ৷ যদিও, এই ঘটনায় অভিযোগকারী ছাত্রী পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি ৷ অন্যদিকে, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর, আজ কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখায় একাংশ পড়ুয়া ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details