নেপাল-তিব্বত সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা বেড়ে 126

নেপাল-তিব্বত সীমান্তে ভূমিকম্প ৷ উৎসস্থল নেপালে রিখটার স্কেলে প্রথম দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল 7.1 ও 4.7 ৷ ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ৷

হায়দরাবাদ, 7 জানুয়ারি: সাতসকালে কেঁপে উঠল নেপাল-তিব্বত সীমান্ত । মঙ্গলবার ভোর 6.40 নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও সিকিমেও ৷ ভোরবেলাতেই আতঙ্কে রাস্তায় নামেন মানুষ । জানা গিয়েছে, প্রায় 1 মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে । শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহারেও ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে ।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সুত্রে পাওয়া খবরে পশ্চিম চিনের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 126 ৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় 188 জন ৷

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের লবুচে থেকে 93 কিলোমিটার দূরে শিজাংয়ে ৷ সেখানে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা 7.1 ৷ ফের ভূমিকম্প হয় তিব্বতের শিজাংয়ে ৷ দ্বিতীয় ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে 4.7 ৷ দু’টি ভূমিকম্পই হয়েছে মাটি থেকে 10 কিলোমিটার গভীরে ৷ তারপর থেকে পরপর ভূমিকম্প হয়েছে শিজাংয়ে ৷ ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রত্যেকটি ভূমিকম্পের মাত্রাই 4.8-এর উপরে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর জানা যায়নি ৷

ভূমিকম্পের প্রভাবেই কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা-সহ বাংলার একাধিক জায়গায় ৷ শুধু এদেশই নয়, ভূকম্প অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, ভূটান এবং চিনেও ৷

সাতসকালে জোড়া ভূমিকম্প নেপাল-তিব্বত সীমান্তে ! (ANI)

প্রসঙ্গত, ভূগর্ভে উপস্থিত 7টি প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে ৷ প্রতিটি দেশের সিসমিক মানচিত্রের নিরিখে মোট 4টি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা (জোন) রয়েছে ৷ সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকাগুলিকে রাখা হয়েছে জোন V-এ ৷ বিশ্বের 11 শতাংশ দেশ এই জোনের অন্তর্গত ৷ 18 শতাংশ দেশ নিয়ে তৈরি হয়েছে পরবর্তী ভূমিকম্প প্রবণ জোন IV ৷

30 শতাংশ দেশ আংশিক ভূমিকম্প প্রবণ জোন III-এর অন্তর্গত এবং বাকি দেশগুলি রয়েছে জোন II-এ, যেখানে ভূমিকম্প হয় না বললেই চলে ৷ ভূমিকম্প তত্ত্ব কেন্দ্রের মতে, বাংলা রয়েছে জোন III-এর অন্তর্গত ৷ অর্থাৎ, রাজ্য আংশিক ভূমিকম্প প্রবণ জোনের মধ্যে পড়ে ৷