মালদা, 8 জুন: খেলতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল 13 বছরের মেয়েটি ৷ তার খেলার নেশা জানেন অভিভাবকরা ৷ তাই কেউ কিছু ভাবেননি ৷ এ দিকে সন্ধে গড়িয়ে গেলেও মেয়ে বাড়ি ফেরেনি ৷ এমনটা আগে হয়নি কখনও ৷ খোঁজ নিতে শুরু করেন বাড়ির সবাই ৷ কোথাও কোনও হদিস না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন ৷ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ওই কিশোরীর সন্ধান পায়নি পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াডাঙ্গি গ্রামে ৷
খেলতে গিয়ে নিখোঁজ মালদার কিশোরী (ইটিভি ভারত) নিখোঁজ কিশোরীর নাম ললিতা দাস ৷ শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে নিখোঁজ সে ৷ বাবা রামমোহন দাস পেশায় শ্রমিক ৷ তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ললিতা সবার ছোট ৷ শুক্রবার থেকে ছোট মেয়ের চিন্তায় আকুল মা রুমা দাস ৷ জানালেন, মেয়ের খুব খেলার নেশা ৷ সবসময় খেলত ৷ পড়াশোনাও করেনি ৷ স্কুলে ভরতি করেছিলেন ৷ কিন্তু পড়তে বসলেই ওর নাকি মাথা ভার হয়ে যায় ৷
রুমা বলেন,"আমরাও আর চাপ দিইনি ৷ গতকাল দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেলে খেলতে বেরিয়ে পড়ে মেয়ে ৷ তারপর থেকেই ওর আর কোনও খোঁজ নেই ৷ প্রথমে ভেবেছিলাম, হয়তো গ্রামেই কারও বাড়িতে গিয়েছে ৷ সন্ধে হলে গোটা গ্রাম খুঁজে বেড়াই ৷ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজ নিই ৷ কিন্তু কোথাও মেয়ের সন্ধান পাইনি ৷ অবশেষে রাতে থানায় গিয়ে মেয়ের নামে মিসিং ডায়েরি করি ৷"
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ ওই কিশোরীর সন্ধানে চারদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷ বিষয়টি প্রতিবেশী বিহার পুলিশকেও জানানো হয়েছে ৷ এর আগেও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে একাধিক কিশোরী-তরুণীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল ৷ নিখোঁজ তরুণীর দেহও উদ্ধার হয়েছে ৷ পরপর এধরনের ঘটনায় শঙ্কিত এলাকার মানুষজন ৷ তবে কি বিহারের নারী পাচারচক্র হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে? এ রাজ্যের মেয়েদের কি সেখানে নিয়ে গিয়ে অন্ধকার জগতে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷