নয়াদিল্লি, 19 অগস্ট:প্রেমের শহর হতাশ করেছে ৷ মাত্র 100 গ্রাম ওজন বেশি থাকায় ফাইনালের আগে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করা হয় ৷ আবেদন সত্ত্বেও অলিম্পিক্স কমিটির সিদ্ধান্তই বহাল রাখে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস ৷ ফলে রুপো নিশ্চিত হয়ে গেলেও পোডিয়াম ফিনিশ করতে পারেননি ভিনেশ ফোগত ৷ যদিও দেশে ফিরে বিজয়ীর সম্মান পাচ্ছেন ‘দঙ্গল গার্ল’, পেলেন সোনার মেডেলও ৷
শনিবার দেশে ফিরেছেন কুস্তিগীর ৷ ভিনেশ ফোগতকে দেশবাসী বরণ করেছে ‘সোনার মেয়ে’র সম্মানেই ৷ অলিম্পিক্স শেষে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামা ভিনেশকে বরণ করা হয় জমকালো রোড শো’য়ে ৷ দিল্লি বিমানবন্দরে কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক এবং কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডাও ভিনেশকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন ৷ কয়েকশো লোক শোভাযাত্রা করে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায় ৷
নয়াদিল্লি থেকে বালালি যাওয়ার মাঝে একাধিক গ্রামে তাঁকে সম্মান জানানো হয় ৷ 135 কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা পেরতে লেগে যায় 13 ঘণ্টা ৷ ভিনেশকে বহু জায়গায় শুধু সম্মানই জানানো হয়নি, তাঁকে সামর্থ্য অনুযায়ী উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেকে ৷ তাঁকে সোনার মেডেল দিয়েও সম্মানিত করা হয় । একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে সোনার মেডেল পরিয়ে দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা ৷ মঞ্চ থেকে ভিনেশকে 100 এবং 500 টাকার নোটের মালা পরিয়ে দেওয়া হয় ৷
দেশের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়েছিলেন এশিয়াড, কমনওয়েলথে সোনাজয়ী ফোগত ৷ 140 কোটি দেশবাসী চলতি অলিম্পিক্সে প্রথম সোনার প্রত্যাশা করেছিল তাঁরই কুস্তির প্যাঁচে ৷ ভাগ্যের ফেরে মেডেল গলায় ঝোলানো হয়নি ৷ যদিও ভালোবাসায় অভিভূত ভিনেশ বলেছেন, ‘‘এর কাছে 1000টি অলিম্পিক্স সোনাও ফ্যাকাশে ৷’’