কলকাতা, 31 মার্চ: কোনও ফুটবলারের অবসর ঘিরে জাতীয় দলের ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হওয়ার নজির ভারতীয় ফুটবলে বিরল। 6 জুন কুয়েতের বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি ভারত। বৃহস্পতিবার থেকে 2026 বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য জোরকদমে অনুশীলন শুরু করেছে ভারতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচটি হতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৷ অনুশীলনের পর সুনীলকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন সতীর্থ লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে ৷
এই ম্যাচের তিন পয়েন্ট পেলেও পরের পর্বে ভারতীয় দলের যাওয়া অনেক অংকের ওপর নির্ভর করবে। ব্লু টাইগার্স ফ্যানদের অবশ্য তা নিয়ে বিশেষ আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। তাঁরা সুনীল ছেত্রীর অবসর লগ্নকে স্মরণীয় করতেই বেশি আগ্রহী। সেই কারণে কলকাতায় প্রথম অনুশীলনটি সংবাদমাধ্যমকে পুরো দেখার অনুমতি দিয়েছিলেন দলের হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ। এদিন কলকাতায় ভারতীয় দলের প্রথম অনুশীলন দেখতে উপস্থিত ছিলেন বেশকিছু সমর্থক।
কলকাতায় প্রথম দিনের অনুশীলনে প্রধানত ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ওপরেই জোর দেন হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ। পরে ম্যাচ সিচুয়েশন অনুশীলন শুরু হলে, অধিকাংশ সময় উইং ভিত্তিক অনুশীলনই করান তিনি। সেই সময় নিখিল পূজারি, অময় রানাওয়াডেরা কোনও ভুল করলেই তাদের ডেকে বারবার বোঝাচ্ছিলেন স্টিম্যাচ। গোলের সামনে থেকে মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, নাওরেম মহেশরা ভুল করলে যেমন বকা দিচ্ছিলেন, তেমনই তাঁরা গোলে ভালো শট নিলে প্রশংসাও করছিলেন তাঁদের হেড স্যার। শেষ কয়েকটি ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেনি ভারতীয় দল। সেই কারণে গোলের অনুশীলনের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়। এদিন অনুশীলনে সব থেকে বেশি নজর কাড়েন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে।
পাসিং, ড্রিবল থেকে গোল সবকিছুতেই অনবদ্য ছিলেন তিনি। তরুণ এই উইঙ্গার জানিয়েছেন, এই ম্যাচটিকে তাঁরা সুনীল ছেত্রীর জন্যই স্মরণীয় করতে চান। সেই কারণেই শিবিরে এখন কুয়েত ম্যাচ নিয়েই আলোচনা চলছে। তাঁর আরও সংযোজন, "আমরা সারাক্ষণ কুয়েত ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করছি। এই ম্যাচ জিতে ইতিহাস তৈরি করতে আমরা তৈরি। কুয়েতকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যেতেই হবে।" প্রায় একইসঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, "সুনীল ভাইকে আমরা জয় উপহার দিতে চাই। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এটা সম্ভব। গোলের পাস বাড়াতে হবে সুনীল ভাইকে। ও আমাকে সব সময় গাইড করে ৷ সুনীল ছেত্রী হয়ে ওঠা সহজ কথা নয়।"