কলকাতা, 19 জুলাই: পাঁচ ম্যাচে 18 গোল। কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল যেন অশ্বমেধের ঘোড়া। পুলিশ এসি-কে হাফ-ডজন গোলে উড়িয়ে কলকাতা লিগের পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে লাল-হলুদ। কাস্টমসের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ম্যাচ শেষ হওয়ার করার পর ক্লান্তির অজুহাত দিয়েছিলেন কোচ বিনো জর্জ। ডার্বির জয়ের 72 ঘণ্টার ব্যবধানে ম্যাচ খেলল ইস্টবেঙ্গল।
বৃষ্টিভেজা মাঠে ক্লান্তি সরিয়ে লাল-হলুদ দেখাল চনমনে। 17 মিনিটে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। তিনি গোল করে জেসিন টিকেকে দিয়ে 72 মিনিটে দলের পাঁচ নম্বর গোলের রাস্তা গড়ে সায়ন। জেসিন এদিন দু'টি গোল করেন ৷ ম্যাচের সেরা সায়ন ৷ এদিকে লাল-হলুদের সিনিয়র দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে খেলার হাফ-টাইমে মাঠে ঢোকেন জিকসন সিং। পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে তখন 2 গোলে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। জয়ের সরণিতে ফেরার আনন্দ আবহ মাঠজুড়ে।
এই সময় জিকসনের প্রবেশ যেন জয়ের আনন্দের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কোচ ছয় নম্বর জার্সি তুলে দেন মণিপুরী মিডফিল্ডারের হাতে। ততক্ষণে প্রত্যাশা এবং আবেগ কতটা হতে পারে তা বুঝতে পেরে গিয়েছেন অনূর্ধ্ব-17 বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে একমাত্র গোলদাতা।
ইস্টবেঙ্গল জার্সি পড়ে তিনি বলেন, "আমি অভিভূত সমর্থকদের উন্মাদনা ও ভালোবাসা দেখে। আমার লক্ষ্য দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। সেই লক্ষ্যেই আমি উজার করে দেব।" চার বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গল এফসি-তে যোগ দিলেন জিকসন সিং। শুক্রবার ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর যোগদানের খবর সরকারিভাবে জানানো হয়। কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে লাল-হলুদে আসলেন তিনি। তরুণ মিডফিল্ডারের যোগদানে নিঃসন্দেহে শক্তি বাড়বে ইস্টবেঙ্গলের।
আবেগ উন্মাদনায় জিকসন বরণ ইস্টবেঙ্গলে (ইটিভি ভারত) তেইশ বছর বয়সি ভারতীয় মিডফিল্ডারের যোগদানে খুশি কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তিনি জানান, ভারতীয় দলের ফুটবলার জিকসন মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওর সঙ্গে আমার ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় ওর ফুটবল ভবিষ্যতকে কতটা সাহায্য করতে পারে সেটাও কথা হয়েছে। ওর যোগদান ক্লাবের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝতে পেরেছে। তারপর চ্যালেঞ্জটা নিয়েছে।