কলকাতা, 22 ডিসেম্বর: প্রথম সাত ম্য়াচে জয়হীন ৷ অথচ দ্বাদশ ম্য়াচের পর দাঁড়িয়ে এযাবৎ আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সংগৃহীত সর্বাধিক স্কোর এটাই ৷ অর্থাৎ, চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গল যে 13 পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে সেটাই ৷ যার কাণ্ডারী অস্কার ব্রুজোঁ ৷ 'লাস্ট বয়' থেকে দশম স্থানে দল ৷ আগ্রাসী ফুটবলে শনিবার ঘরের মাঠে স্পর্ধার জয় পেয়েছে লাল-হলুদ। জয়ের পর অস্কার ব্রুজোঁ জানাচ্ছেন, তিনি শুধু দলের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা যোগ করেছেন। কারণ, এই দল তাঁর তৈরি নয়।
দায়িত্ব নিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন গণ্ডগোলটা কোথায়। বিশ্বাস করেছিলেন এই দলের এত নীচে থাকার কথা নয়। সেইভাবেই দলের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা প্রবেশ করিয়েছেন তিনি। সরাসরি না-বললেও অস্কার ব্রুজোঁ মনে করেন 33 থেকে 37 পয়েন্টের মধ্যে লুকিয়ে সুপার সিক্সের টিকিট। তবে আপাতত একটি করে ম্যাচ ধরে এগোনোর কথা বলছেন স্প্যানিশ ভদ্রলোক। ঝুলিতে 13 পয়েন্ট। বছরের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে আগামী 28 ডিসেম্বর। নিজামের শহরে খেলতে যাওয়ার আগে প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখতে রাজি নন। লাল-হলুদ হেডস্যর জানাচ্ছেন, উপরের দিকে ওঠার কাজটা জারি রাখাই লক্ষ্য। সেই কাজটা করতে ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং সেটা তাঁরা করছে।
অস্কার ব্রুজোঁর বক্তব্য (ETV Bharat)
এদিকে বহুদিন পরে লাল-হলুদ গ্যালারিতে মশালের গনগনে আঁচ। বদলের হাওয়া বয়ে নিয়ে আসার ভগীরথ যে অস্কার ব্রুজোঁ, তা স্বীকার করছেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচেই তিন পয়েন্টকে পাখির চোখ করছেন তিনি। আর তা রূপায়ণে কোচের প্রতি আস্থাশীল লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা। ব্রুজোঁর অধীনে মাঠে নতুন ভূমিকায় 'বুড়ো ঘোড়া' ক্লেইটন সিলভা। নিজে গোলের চেয়েও গোলের রাস্তা বানানোয় বেশি সক্রিয় তিনি। তাঁর মতে, জামশেদপুর এফসি'র বিরুদ্ধে জয় বড়দিনের আগে সমর্থকদের উপহার। সেইসঙ্গে সুপার সিক্সে জায়গা করে নেওয়াই প্রাথমিক লক্ষ্য বলে জানালেন তিনি।
ক্লেইটনের সঙ্গেই উজ্জ্বল পিভি বিষ্ণু ৷ তবে যাঁর কথা না-বললেই নয়, তিনি আনোয়ার আলি। একসময় হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ফুটবল জীবনটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে মাঠে ফিরে দেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ৷ চলতি মরশুমে দলবদলে সবচেয়ে বড় বিতর্ক তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছিল। সব সমস্যা কাটিয়ে আনোয়ার এখন অস্কারের 'ত্রাতা মধুসূদন'। গত তিনটি ম্যাচে তিন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সফল তিনি। যাঁর পারফরম্যান্সের প্রশংসা অস্কারের গলায়। লাল-হলুদ কোচ জানিয়ে গেলেন, আনোয়ার দলের সম্পদ।