কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি: চার বছর পরে ফের কলকাতায় বসেছে প্রো-কবাডির আসর। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে 'ইন্ডিয়া কি সবসে বারি খেলে'র ৷ 14 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে 12 দলের লড়াই। কবাডি কবাডি আওয়াজে গমগম করছে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম। মনিন্দার সিং, শুভম শিন্ডের মতো খেলোয়াড় এবারের বেঙ্গল ওয়ারিয়ার্স দলে। তবে গতকাল বিপক্ষ দল গুজরাত ফরচুন জায়েন্টসের বিরুদ্ধে 32-41-এ হেরেছে বেঙ্গল ওয়ারিয়ার্স ৷ তবে এবার প্রো-কবাডিতে নেই কোনও বাংলার খেলোয়াড় ৷ তাতে কোচ কাশীনাথ ভাস্করণ বলছেন, "প্রো-কবাডিতে খেলার মতো প্লেয়ার বাংলায় নেই ৷"
পয়েন্ট টেবিলে বাংলার দলের যে পরিস্থিতি তাতে প্রতিটি ম্যাচই ডু অর ডাই। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে জয়পুর পিংক প্যান্থার্স, দ্বিতীয় স্থানে পুনেরি পল্টন ৷ দাবাং দিল্লি তৃতীয়তে ৷ এই তিন দল ইতিমধ্যেই প্লে-অফে চলে গিয়েছে। আরও তিনটি দলের কাছে সুযোগ রয়েছে নক আউটে যাওয়ার।
গতকাল থেকে ইনডোরে বসেছে কবাডির আসর দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাশে নিয়ে কোচ কাশীনাথ ভাস্করণ জানিয়েছেন তারা চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। তবে কবাডি নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হলেও তার প্রভাব বাংলার কবাডি মহলে নেই।
দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে পাশে নিয়ে কোচ কাশীনাথ ভাস্করণ ভূমিপুত্ররা কেন ব্রাত্য সেই প্রশ্নে বিস্ফোরক ভাস্করণ, "অতীতে আমাদের দলে বাংলার খেলোয়াড়রা খেলেছে। তবে এই মরশুমে একজনও বাংলার খেলোয়াড় নেই। আমরা ট্রায়ালে সেই মানের একজনও খুঁজে পাইনি, যাকে দলে নেওয়া যায়। আমি যখন কবাডি খেলতাম তখন কিন্তু বাংলায় অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা ছিলেন। আনসার আলি, বিশ্বজিৎ পালিত, রমা সরকার ও পায়েল চৌধুরীর মতো সব নাম। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে ও পূর্ব রেলওয়ের দু'টি শাখা থেকে স্পোর্টস কোটায় অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় নিয়োগ করা হয়েছিল।"
তাঁর আরও সংযোজন, "রাজ্য ভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ও আন্তর্জাতিক স্তরেও অনেক অনেক বেশি টুর্নামেন্ট হত। বিশেষত সাত দেশীয় টুর্নামেন্ট হত মেয়েদের নিয়ে। ছেলেদের জন্যও হত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এখন তো সেটা পড়তির দিকে। কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে সেই ঐক্য নেই। ঐক্যের অভাব আছে বলেই টুর্নামেন্ট কমে গিয়েছে। যদি তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, তাহলে আগামিদিনে বাংলা থেকে অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে। শুধু বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সেই নয়, তারা সব জায়গাতেই খেলার সুযোগ পাবে বাংলার খেলোয়াড়রা।"
তিনি বলেন, "বিশেষত বাংলার কথা আমি বলব। এখানে কিন্তু যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে মাঠ আছে, ভালো অ্যাকাডেমি তৈরি করতে হবে। অনেক তরুণরা কবাডি খেলতে চায়। কিন্তু তারা জানে না যে, কীভাবে খেলতে হবে। সেজন্যই তো কোচরা রয়েছেন।" বেঙ্গল ওয়ারিয়ার্সের অধিনায়ক মনিন্দর কলকাতা পর্ব নিয়ে আশাবাদী। তিনি বললেন, "দেখুন বাংলায় ফিরে দারুণ লাগছে। এখানকার সমর্থকরা আমাদের জন্য ভীষণ পয়া। দেশের অন্য প্রান্তে খেললে, আমাদের খেলায় ওঠাপড়া থাকে। কিন্তু বাংলায় আমরা সত্যিই খুব ভালো খেলি। এখানে হারি না। এর কারণ আমি জানি না। আমাদের চারটি ম্যাচই জিততে হবে। সেই চেষ্টাই করব।"
আরও পড়ুন:
- রেফারির ভুলে নাটকের শেষ অংকে কবাডিতে সোনা জয় ভারতের
- মহিলাদের হাত ধরে 100তম পদক! চিন তাইপেইকে হারিয়ে সোনা জিতল কবাডি দল
- পয়েন্টের বন্যায় প্রতিপক্ষকে হারাল ভারতের কবাডি টিম, 29 বছর পর পদক এল ক্যানয়ে