কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: মন্ত্রিসভার বৈঠকে জল জীবন মিশন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি কেনা থেকে শুরু করে প্রকল্প রূপায়ণ এমনকী রক্ষণাবেক্ষণ সমস্ত কিছু খরচ রাজ্যকে বহন করতে হয়। এরপরেও রাজ্যকে মোট খরচের 50 শতাংশ বহন করতে হয়। অথচ সেখানে নাম হয় কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় সরকারের এই একতরফা প্রচার নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
সম্প্রতি এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। এতেও ভোট রাজনীতি দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এদিন তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যকে এই অর্থ দেওয়া প্ররোচনা ছাড়া আর কিছু নয়। মূলত বকেয়া ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই এসব করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পে জন্য 551.57 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এই মুহূর্তে রাজ্যকে সমপরিমাণ ম্যাচিং ফান্ড দিতে হবে। এই অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তুলে রাখা যাবে না।
দ্রুত কাজ শুরু না-করলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একথা বলা হতে পারে যে রাজ্য-কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়ার পর তা খরচ করতে পারছে না। ফলে উভয় দিক থেকে রাজ্যকে সংকটে ফেলার একটা প্রয়াস দেখছে রাজ্য সরকার। মূলত এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। যাতে এই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তা দেখবে এই কমিটি। জল জীবন মিশন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ এদিনই প্রথম নয়।
100 দিনের কাজ আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যকে বঞ্চনার ইস্যুতে রেড রোডে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ধরনামঞ্চ থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। সেসময় তিনি বলেছিলেন, জমি কেনা থেকে শুরু করে, রক্ষণাবেক্ষণ সবটাই করে রাজ্য সরকার। তার উপর কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে সমপরিমাণ অর্থও খরচ করতে রাজ্য। বাস্তব দেখলে এই খরচের পরিমাণ রাজ্য সরকারেরই বেশি। তা সত্ত্বেও এই প্রকল্প রূপায়ণের যাবতীয় কৃতিত্ব দাবি করে কেন্দ্র লাগাতার প্রচার চালায়। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে কার্যত সেই বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
আরও পড়ুন:
- দিল্লি যাচ্ছেন না মমতা, 'এক দেশ, এক নির্বাচনের' বৈঠকে থাকবেন কল্যাণ-সুদীপ
- 370-এর বেশি আসনে জিতবে বিজেপি, লোকসভায় আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী মোদি
- স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই সন্দেশখালি কাণ্ডে আবারও রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের