শ্রীনগর, 26 মার্চ: অনশনে রয়েছেন লাদাখের বিশিষ্ট সামাজিক ও পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুক ৷ মঙ্গলবার ছিল তাঁর অনশনের 21 দিন ৷ এর মাঝেই, এই অঞ্চলে আরও একটি আন্দোলন গতি পেয়েছে। কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) লাদাখের রাজত্ব এবং ষষ্ঠ তফসিলের মর্যাদা-সহ বিভিন্ন দাবিতে পৃথকভাবে অনশন শুরু করেছে।
ওয়াংচুক 6 মার্চ অনশন শুরু করেছেন ৷ যাঁর মূল লক্ষ্য পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সাংবিধানিক সুরক্ষার পাশাপাশি লাদাখের জন্য গণতান্ত্রিক অধিকার। লাদাখের ভঙ্গুর ইকোসিস্টেমকে রক্ষা করতে এবং এর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে তার প্রচেষ্টা ব্যাপক মনোযোগ লাভ করেছে।
ষষ্ঠ তফসিলের স্থিতির জন্য এবং আন্দোলনের গতিকে ত্বরান্বিত করতে কেডিএ এবং লেহ এপেক্স বডি (ল্যাব) সম্প্রতি একটি যৌথ সভা আহ্বান করে। দুই জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে তারা তাদের দাবি আদায়ের কৌশলও সামনে এনেছে ৷ এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে স্থানীয় যুবকদের জন্য চাকরি সংরক্ষণ, দুটি সংসদীয় আসন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার। অগস্ট 2019-এ বিধানসভা ছাড়াই লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত হওয়ার পরে অসন্তোষ ক্রমে বাড়তে থাকে ৷ সেই সময়ই এই আন্দোলন শুরু হয় ৷ কেডিএ, প্রাথমিকভাবে মুসলিম গোষ্ঠীগুলির প্রতিনিধিত্ব করে ৷ লেহ-ভিত্তিক এপেক্স বডির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতাও করে তারা ৷ যা মূলত লেহে বৌদ্ধদের প্রতিনিধিত্ব করে ৷
রবিবার কেডিএ নেতৃত্ব এবং স্বেচ্ছাসেবকরা ওয়াংচুকে সমর্থন জানিয়ে অনশন শুরু করার জন্য কার্গিলের হুসেনি পার্কে জড়ো হয়। তাদের স্লোগানে বলা হয়, লাদাখে সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক শাসন পুনরুদ্ধার করতে হবে ৷ কারগিল স্বায়ত্তশাসিত পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলর জাজ্জার আখুন, কেডিএ-এর কো-চেয়ারম্যান আসগর আলি কারবালাই এবং কমর আলি আখুন অনশনে অংশ নিয়েছেন। অনশনে ইমাম খোমেনী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ মহম্মদ মোহাক্কিক, নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিরাও জড়ো হয় ৷