চেন্নাই, 21 অক্টোবর:বান্দ্রা-ওরলি সি লিংক (5.6 কিমি লম্বা, জলস্তরের 126 মিটার উপরে), হাজিরা ক্রিক ব্রিজ (1.4 কিমি লম্বা, জলস্তরের 25 মিটার উপরে), ভাইজাগ-সিথাম্পেটা রেলওয়ে ব্রিজ (2.3 কিমি লম্বা, জলস্তর থেকে 20 মিটার উপরে) এবং নির্মীয়মাণ মুম্বই ট্রান্স হারবার লিংক (21.8 কিমি দীর্ঘ, জলস্তর থেকে 25 মিটার উপরে), চন্দ্রভাগা নদীর রেলসেতু (1.3 কিমি দীর্ঘ, জলস্তর থেকে 359 মিটার উপরে) ইত্যাদির মতো ভারতীয় সেতুগুলি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্থাপত্য ক্ষমতার উজ্জ্বল নিদর্শন ।
অগণিত প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ এবং এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও এই নির্মাণগুলি প্রকৌশলগত উৎকর্ষতা এবং উদ্ভাবনী নকশার পরিচায়ক ৷ জাতীয় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য এই সমস্ত নির্মাণ বা প্রকল্পগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ এগুলির মধ্যে অন্যতম তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় পামবান রেলসেতু এই ক্ষেত্রে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ এটি ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের একটি অসাধারণ কৃতিত্ব, যা রামেশ্বরম শহরকে ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে ।
2.3 কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এই সেতুটি রামেশ্বরম দ্বীপ এবং মূল ভূখণ্ডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করেছে । 1914 সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ পণ্য ও পরিষেবা পরিবহণের সুবিধার্থে এই সেতুর নির্মাণ করেছিল ৷ জার্মান ইঞ্জিনিয়ারদের ডিজাইন করা এই সেতু সম্পূর্ণরূপে চালু হতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে । এটি সেই সময়ের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু ছিল ৷
সেতুটিতে 15 মিটার অন্তর অন্তর 145টি কংক্রিটের থাম রয়েছে । সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 12 মিটার উপরে তৈরি হওয়ায় তার নীচ দিয়ে জাহাজ এবং নৌকা চলাচলেরও অনুমতি রয়েছে । সেতুর সুই জেনিয়াস লিফটিং স্প্যান জাহাজগুলিকে অতিক্রম করার অনুমতি দেয় ৷ যা এই সেতুকে প্রযুক্তিগত নকশা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি অসাধারণ কীর্তি হিসেবে তুলে ধরেছে । এটি শুধুমাত্র বাণিজ্য, ব্যবসা এবং অর্থনীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বিখ্যাত রামেশ্বরম মন্দিরে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের চলাচলের পথও মসৃণ করে এই রেলসেতু ৷