হায়দরাবাদ: সালটা 2019 ৷ অক্টোবরে ডিআরডিও’র 41তম সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছিলেন, ‘‘ভারত বৃহত্তম অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানিকারক ৷ স্বাধীনতার 70 বছর পরেও এই শিরোপা খুব একটা গর্বের নয় ।’’ তিনি সেদিন এও বলেছিলেন যে আমরা আত্মবিশ্বাসী, দেশীয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে পরবর্তী যুদ্ধে লড়ব এবং জিতব ।’’
ওইদিনের প্রায় পাঁচ বছর পর গত সপ্তাহে, বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী 2025 সালের মধ্যে 230টি চুক্তি পূরণ করতে 340টি দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে সহযোগিতা করছে । যাতে ব্যয় হবে 2.5 লক্ষ কোটি টাকা । ভারতীয় নৌবাহিনী গত বছর অক্টোবরে একটি বিবৃতি জারি করেছিল ৷ যাতে বলা হয়েছে, ‘‘2047 সালের মধ্যে ‘আত্মনির্ভরতা’ অর্জনের লক্ষ্যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে স্বদেশীকরণ বাড়ানোর জন্য একটি বিশদ রোডম্যাপে কাজ শুরু হবে ।’’ নৌবাহিনীর বর্তমান প্রধান অ্যাডমিরাল হরি কুমারের মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছিল ৷
আত্মনির্ভরতায় বদলাচ্ছে প্রতিরক্ষার মানচিত্র...
প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর আমদানি শুরু হয় 2014 সালে ৷ গত কয়েক বছরে আস্তে আস্তে বদলেছে দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সামগ্রিক চিত্র ৷ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের কর্পোরেটাইজিং পরিবর্তন থেকে ব্যক্তিগত মালিকানার আমদানি, বদলে গিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনের ল্যান্ডস্কেপটাই । তারপর থেকে ক্রমশ বেড়েছে গ্রাফটা ৷ ক্রমশ বেড়েছে প্রতিরক্ষা উৎপাদন । 2017 সালে যা ছিল 740 কোটি টাকা, 2023 সালে সেটাই গিয়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ কোটিরও বেশি ।
ক্রমাগত বাড়ছে প্রতিরক্ষা খাতে রফতানি...
2023 সালের মে মাসে প্রকাশিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার জানায় ক্রমশ বাড়ছে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি ৷ 2013-14 অর্থবর্ষে যা ছিল 686 কোটি টাকা, 2022-23 অর্থবর্ষে সেটাই গিয়ে দাঁড়িয়েছে 16,000 কোটি টাকায় । গত বছরের নভেম্বরে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি জানিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরে 35,000 কোটি টাকার রফতানি করবে ভারত ।