লন্ডন, 4 জুলাই: ব্রিটেনে শুরু নির্বাচন ৷ বৃহস্পতিবার সেখানকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী সকালে এই ভোট শুরু হয়েছে ৷ এই নির্বাচনী লড়াইয়ের একদিকে রয়েছেন চুয়াল্লিশ বছর বয়সী ঋষি সুনক ৷ অন্যদিকে রয়েছেন লেবার পার্টির কেইর স্টারমার ৷ সুনক এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর দল কনজারভেটিভ পার্টি গত 14 বছর ধরে ব্রিটেনের ক্ষমতায় রয়েছে ৷ গত ছ’সপ্তাহ ধরে প্রচারে সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার মরিয়া লড়াই করেছেন সুনক ৷ অন্যদিকে লেবার পার্টিও ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া ৷ তাদের নেতা কেইর স্টারমারও প্রচারে সুনকদের হারানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে গিয়েছেন ৷
ব্রিটেনের পার্লামেন্টে 650টি আসন ৷ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ডে ছড়িয়ে রয়েছে এই আসনগুলি ৷ এখানে ক্ষমতায় আসার জন্য প্রয়োজন 326 আসনে জয় ৷ এখানে মূল লড়াই কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মধ্যে ৷ তবে নির্বাচনী ময়দানে আরও অনেক দল রয়েছে ৷ সেই দলগুলি হল - লিবারেল ডেমোক্র্যাটস, গ্রিন পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি, এসডিএলপি, ডেমোক্রেটিক ইউনোনিস্ট পার্টি, সিন ফিয়েন, প্ল্যাড সিমরু ও অ্যান্টি ইমিগ্রেশন রিফর্ম পার্টি ৷
এই সব দলের প্রার্থীরা যেমন লড়াইয়ে রয়েছেন, তেমনই বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী হিসেবেও ভোটে লড়ছেন ৷ এই প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় 46 মিলিয়ন ভোটার ৷ এ দিন ব্রিটেনের সময় সকাল 7টা থেকে 40 হাজার বুথে তাঁরা ভোটদানের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে শুরু করেছেন ৷ এবারও প্রথম ভোটারদের জন্য পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ রাত 10টায় শেষ হবে ভোট প্রক্রিয়া ৷
তার পরই সকলের নজর চলে যাবে এক্সিট পোলের দিকে ৷ ওপিনিয়ন পোলে অবশ্য লেবার পার্টিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের আগেই প্রথম ফলাফল সামনে আসতে শুরু করবে ৷ ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী, কনজারভেটিভরা পেতে পারে 53 থেকে 150টি আসন ৷ আর বিপুল জয় হতে পারে লেবার পার্টির ৷ সেই পূর্বাভাস সত্যি হলে 2010 সালের পর আবার লেবার পার্টি ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসবে ৷ গর্ডন ব্রাউনের পর প্রথম লেবার নেতা হিসেবে কেইর স্টারমার প্রবেশ করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন 10 ডাউনিং স্ট্রিটে ৷
2019 সালের নির্বাচনে 365 আসনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বরিস জনসন ৷ লেবার পার্টি পেয়েছিল 202টি আসন ৷ ব্রিটেনে প্রতি পাঁচবছর অন্তর ভোট হয় ৷ সেই হিসেবে 2025 সালের জানুয়ারিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু গত মে মাসে আচমকা ভোট ঘোষণা করে দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনক ৷ তাঁর সেই ঘোষণা কি বুম্যেরাং হবে ? এখন সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷