নিউইয়র্ক, 9 এপ্রিল: মার্চ মাসে নিখোঁজ হয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় পড়ুয়া মহম্মদ আবদুল আরফাত ৷ এবার তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে ক্লভিল্যান্ড পুলিশ ৷ এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ভারতীয় পড়ুয়ার দেহ পাওয়া গেল ক্লিভল্যান্ডে ৷ হায়দরাবাদের নাচারাম এলাকার বাসিন্দা আরফাত 2023 সালের মে মাসে ক্লিভল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন ৷
এই ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাসের জেনারেলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, "দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে মহম্মদ আবদুল আরফাত যাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছিল ৷ তাঁকে ওহিওর ক্লিভল্যান্ড শহরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ৷ আরফাতের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাই ৷ স্থানীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে আমরা যোগাযোগ রাখছি ৷ দ্রুত মৃত মহম্মদ আবদুল আরফাতের দেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷"
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে আরফাতের বাবা মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, গত 7 মার্চ শেষবার ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি ৷ তারপর থেকে আর পরিবারের সঙ্গে আরফাতের কোনও যোগাযোগ ছিল না ৷ এমনকি তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায় ৷ ক্লিভল্যান্ড শহরে আরফাতের রুমমেট সেলিমকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা পুলিশে একটি নিখোঁজের রিপোর্ট করেছেন ৷ এই ঘটনার 12 দিন পর অর্থাৎ 19 মার্চ আরফাতের বাবার কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে ৷
মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাঁকে জানান, আরফাতকে অপহরণ করা হয়েছে ৷ আর এর পিছনে একটি ড্রাগ স্মাগলিং গ্যাং রয়েছে ৷ আরফাতকে মুক্ত করতে ওই গ্যাংকে বারোশো মার্কিন ডলার দিতে হবে ৷ সেই সময় আরফাতের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাইলে, ওই ব্যক্তি ফোন কেটে দেন ৷ সেলিম অভিযোগ করেছেন, টাকা না-দিলে আরফাতের কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় ৷ পুলিশের তরফে সন্দেহ করা হচ্ছে, এই ঘটনায় মাদকচক্রের যোগ থাকতে পারে ৷ আরফাত মাদক সেবন করতেন কি না, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে ক্লিভল্যান্ড পুলিশ ৷
- আরও পড়ুন:মার্কিন মুলুকে ফের ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু
- ভারতীয় বংশোদ্ভুত পরিবারের তিন জনের রহস্য মৃত্যু কানাডায়