তেল আবিব, 18 জানুয়ারি: দীর্ঘ 15 মাসের যুদ্ধের অবসান কবে ? একের পর এক ভেস্তে যাওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এই প্রশ্নই ঘুরছিল বিশ্বাবাসীর মনে ৷ অবশেষে মিলল উত্তর ৷ যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে হামাসদের সমস্ত শর্ত মেনে নিয়েছে ইজরায়েলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ রবিবার থেকেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে দু'তরফে ৷ স্থানীয় ইজরায়েলি সংবাদ সংস্থা 'টাইমস্ অফ ইজরায়েল' শনিবার এমনটাই জানিয়েছে ৷
অবশ্য শুক্রবার ভোরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে বন্দিদের মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস ৷ যুদ্ধে ইতি টানতে তাদের শর্তগুলি নিয়ে এদিন সন্ধ্যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসবে ৷ বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদে হামাসদের শর্তগুলি নিয়ে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই মতো শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত ইজরায়েলের মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় ৷ বৈঠকের পর শনিবার ভোররাতে ইজরায়েলি সরকারের তরফে জানানো হয়, দীর্ঘ 15 মাসের যুদ্ধে ইতি টানতে প্রস্তুত ইহুদি রাষ্ট্রটি ৷ সেই কারণে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে হামাসদের শর্তগুলিতে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, হামাসের শর্তের পক্ষে 24টি ও বিপক্ষে 8টি ভোট পড়ে মন্ত্রিসভায় ৷ রবিবার সকাল থেকে এই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে একে অপরের বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে দুই দেশ ৷ উল্লেখ্য, ইজরায়েলি মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের ফলে প্যালেস্তিনিয় নিরাপত্তারক্ষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়েরও করা যাবে ৷ যদিও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ আদালত ৷
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে 33 জন বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ৷ যদিও এদের মধ্যে ক'জন জীবিত রয়েছে, সেই সম্পর্কে কোনও পরিষ্কার ধারনা নেই ইজরায়েলের কাছে ৷ মুক্তির 24 ঘণ্টা আগে বন্দিদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ ইজরায়েলের দাবি, এই মুহূর্তে 65 জন বন্দি রয়েছে গাজায় ৷ তাদের মধ্য়ে 33 জনকে ছেড়ে দেওয়ার পর বাকিদের ফেরানোর প্রসঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করা হবে ৷
গত 2023 সালের অক্টোবরে হামাসের অতর্কিত হামলায় ইজরায়েলে 1 হাজার 210 জনের মৃত্যু হয় ৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক ৷ অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গাজার ইজরায়েলের পাল্টা হামলার জেরে 46 হাজার 707 মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ এক্ষেত্রেও মৃতদের অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক ৷