তেল আভিভ, 24 ডিসেম্বর: হামাস প্রধানকে হত্যার কথা এই প্রথম স্বীকার করল ইজরায়েল ৷ বছর শেষের আর ক'দিন বাকি ৷ চলতি বছরে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর একাধিক নেতা থেকে শুরু করে হিজবুল্লার মোকাবিলা করেছে ইজরায়েলের সেনা ৷ এবার ইয়েমেনের জঙ্গিগোষ্ঠী হুথিদের সতর্ক করতে জারি করা একটি বার্তায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা প্রকাশ্যে আনলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ ৷
সোমবার তিনি বলেন, "আমরা হুথিদের উপর চরম আক্রমণ শানাব ৷ তাদের নেতাদের মাথা কেটে ফেলব, যেমনটা তেহরানে হানিয়া, গাজায় সিনওয়ার এববং লেবাননে হাসান নাসারাল্লার ক্ষেত্রে হয়েছে ৷ একই রকম আঘাত হানব হোডেইডা এবং সানাতেও ৷" চলতি জুলাই মাসের শেষের দিকে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া হত্যার খবরটি প্রথম জানায় ইরানের প্যারামিলিটারি রেভল্যুশনারি গার্ড ৷
পরে হামাস গোষ্ঠী দাবি করে, তেহরানে বিমান হামলায় নেতার মৃত্যু হয়েছে ৷ এর জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস ৷ তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ৷ সেই অনুষ্ঠানের পর একটি ফ্ল্যাটে হামলা হয়। সেখানেই ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ আরও বলেন, "ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কেউ একটা হাত তুললে, তাঁর হাত কেটে দেব ৷ সেনা আইডিএফ- তাঁকে আক্রমণ করে শেষ করে দেবে ৷"
গত কয়েক মাসে ইজরায়েলের উপর হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা ৷ 21 ডিসেম্বর, শনিবারও রাজধানী তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা ৷ এরপরই ইজরায়েলের মন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারি প্রকাশ্যে এল ৷ হামাসের একাধিক নেতার হত্যার পাশাপাশি হিজবোল্লা নেতাদেরও হত্যা করেছে ইজরায়েল সেনা ৷ গত 27 সেপ্টেম্বর বেইরুটে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় নাসারাল্লার ৷ এরপর 16 অক্টোবর তারিখে গাজায় ইজরায়েলের হামলাতেই মৃত্যু হয় হানিয়ের উত্তরসূরি সিনওয়ারের ৷ এর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ইজরায়েল এবং আমেরিকা ৷ এবার হানিয়ার মৃত্যুর কথাও স্বীকার করল ইজরায়েল।