প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে মুম্বই-ম্যানচেস্টারগামী গাল্ফ এয়ারের বিমানকে কুয়েতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ৷ আটকে পড়েন ভারতীয়রা ৷ তবে বাকি যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে অভিযোগ ৷
নয়াদিল্লি, 2 ডিসেম্বর: কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চরম দুর্ভোগের শিকার 60 জন ভারতীয় ৷ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় জল ও খাবার ছাড়াই 13 ঘণ্টা আটকে থাকতে হল তাঁদের ৷ এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ৷ যাত্রীদের অভিযোগে সাড়া দিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছল কুয়েতে ভারতীয় দূতাবাসের একটি দল ৷ তারপর 60 জন ভারতীয় যাত্রীর জন্য বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয় ৷
রবিবার প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে মুম্বই থেকে ম্যানচেস্টারগামী গাল্ফ এয়ারের GF005 বিমানটিকে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় ৷ বিমানটি আমেরিকা ও ইউরোপের যাত্রী ছাড়া প্রায় 60 জন ভারতীয় ছিলেন ৷ এতদূর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল ৷ বিপত্তি ঘটে কুয়েত বিমানবন্দরে প্রবেশের পর ৷ ভারতীয় যাত্রীদের অভিযোগ, পরবর্তী বিমানের জন্য প্রায় 13 ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের ৷ কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়নি ৷ এমনকী, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য ও পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়নি তাঁদের জন্য ৷
বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ, ভিসা না-থাকায় বিমানবন্দরের বাইরে এসে কোনও হোটেলে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ ছিল না তাঁদের কাছে ৷ অথচ, আমেরিকা ও ইউরোপের যাত্রীদের সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ অগোত্যা সোশাল মিডিয়া এক্স-এর মাধ্য়মে সেই দেশে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা ৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জু সিং নামে এক যাত্রী জানান, অনেক অনুরোধ করার পর বয়স্ক ও বাচ্চাদের বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৷ কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷
তিনি বলেন, "সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর ভারতীয় দূতাবাস থেকে আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ৷" এক্স হ্যান্ডেলে অন্য আর এক যাত্রী অভিযোগ করেন, "ব্রিটিশ যাত্রীদের কাছে অন-অ্যারাইভাল ভিসা থাকার কারণে তাঁদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি ৷ অথচ, বিমানবন্দরে খাবার ও পানীয় জল ছাড়াই ভারতীয়দের অপেক্ষা করতে হয় ৷"
যাত্রীদের একের পর এক পোস্ট দেখে তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছন ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারীকরা ৷ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা ৷ অবশেষে ভারতীয় স্থানীয় সময় 2 ডিসেম্বর ভোর 3টে 30 মিনিটে বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করা হয় ৷