হায়দরাবাদ, 12 এপ্রিল:পালিত হচ্ছে 63তম দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইটের আন্তর্জাতিক দিবস । 2011 সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (UNGA) একটি প্রস্তাবে 12 এপ্রিল দিনটিকে আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস হিসাবে নিশ্চিত করেছে । দিনটি মানবজাতির জন্য মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বাইরের মহাকাশের নানা বিষয়ে আলোচনার গুরুত্ব উপলব্ধি নিশ্চিত করার জন্য উত্সর্গীকৃত ।
এই দিবসের ইতিহাস জানতে 1961 সালে ফিরে দেখা জরুরি, যে বছর সোভিয়েত রাশিয়ার মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন 12 এপ্রিল মানবজাতীর প্রথম সফল মহাকাশ অভিযানের অংশিদার হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন । তিনি ভোস্টক নামের মহাকাশযানে চড়ে 108 মিনিট ধরে প্রতি ঘন্টায় 27,400 কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন । এই অভূতপূর্ব ঘটনাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে ঘটেছিল এবং এটি ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথ সৃষ্টি করেছিল ।
1961 সালের এই ঐতিহাসিক মহাকাশ অভিযানে মানব সভ্যতার অনেক বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছিল । এর ঘটনার পর পরই 1963 সালে, রুশ মহাকাশচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হিসাবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন । এরপর 1969 সালে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি হিসাবে মহাকাশ গবেষণায় নতুন নজির সৃষ্টি করেন । তারপর থেকেই, মহাকাশে ইউরি গ্যাগারিনের সাহসী যাত্রাকে স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে বিশ্বজুড়ে সোভিয়েত মহাকাশচারীর বিজয় এবং সাহসী অভিযানকে উদযাপিত হয় ।
এই সব ঘটনায় ইউএনজিএ মহাকাশের সুবিধার স্বীকৃতি দিয়ে মানবজাতির সাধারণ স্বার্থকে স্বীকার করে । মহাকাশ গবেষণা আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে ৷ যেমন, ন্যাভিগেশন, যোগাযোগ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার সুফল মিলেছে ।