পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / international

আজ ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট, ইতিহাস থেকে গুরুত্ব জানুন বিশদে - Human Space Flight Day

International Day Of Human Space Flight 2024: দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট দিনটি মানবজাতির জন্য মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত নতুন যুগের সূচনা, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে মহাকাশের নানা বিষয়ে আলোচনার উপলব্ধি নিশ্চিত করার জন্য উত্সর্গ করা হয়েছে।

International Day Of Human Space Flight
ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট-এর গুরুত্ব এবং ইসরোর উত্থান

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 12, 2024, 8:03 PM IST

হায়দরাবাদ, 12 এপ্রিল:পালিত হচ্ছে 63তম দ্য ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইটের আন্তর্জাতিক দিবস । 2011 সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (UNGA) একটি প্রস্তাবে 12 এপ্রিল দিনটিকে আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস হিসাবে নিশ্চিত করেছে । দিনটি মানবজাতির জন্য মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বাইরের মহাকাশের নানা বিষয়ে আলোচনার গুরুত্ব উপলব্ধি নিশ্চিত করার জন্য উত্সর্গীকৃত ।

এই দিবসের ইতিহাস জানতে 1961 সালে ফিরে দেখা জরুরি, যে বছর সোভিয়েত রাশিয়ার মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন 12 এপ্রিল মানবজাতীর প্রথম সফল মহাকাশ অভিযানের অংশিদার হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন । তিনি ভোস্টক নামের মহাকাশযানে চড়ে 108 মিনিট ধরে প্রতি ঘন্টায় 27,400 কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন । এই অভূতপূর্ব ঘটনাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের পটভূমিতে ঘটেছিল এবং এটি ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথ সৃষ্টি করেছিল ।

1961 সালের এই ঐতিহাসিক মহাকাশ অভিযানে মানব সভ্যতার অনেক বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছিল । এর ঘটনার পর পরই 1963 সালে, রুশ মহাকাশচারী ভ্যালেন্টিনা তেরেশকোভা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হিসাবে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন । এরপর 1969 সালে, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি হিসাবে মহাকাশ গবেষণায় নতুন নজির সৃষ্টি করেন । তারপর থেকেই, মহাকাশে ইউরি গ্যাগারিনের সাহসী যাত্রাকে স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে বিশ্বজুড়ে সোভিয়েত মহাকাশচারীর বিজয় এবং সাহসী অভিযানকে উদযাপিত হয় ।

এই সব ঘটনায় ইউএনজিএ মহাকাশের সুবিধার স্বীকৃতি দিয়ে মানবজাতির সাধারণ স্বার্থকে স্বীকার করে । মহাকাশ গবেষণা আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে ৷ যেমন, ন্যাভিগেশন, যোগাযোগ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহাকাশ গবেষণার সুফল মিলেছে ।

ইসরোর উত্থান

গত বছর ঐতিহাসিক গগনযান মিশনের পর, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো 2035 সালের মধ্যে দেশের প্রথম মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং 2040 সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে । ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে, ইসরো ভারতের মানববাহী মহাকাশ ফ্লাইট প্রোগ্রাম, গগনযানের জন্য প্রথম চারজন নির্বাচিত মহাকাশচারীর নাম প্রকাশ করেছে ।

ইসরো-এর সদর দফতর তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে একটি ইভেন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোনীত মহাকাশচারী-উইং ব্যাজ দেন মহাকাশচারী - গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ নায়ার, অজিত কৃষ্ণণ এবং অঙ্গদ প্রতাপ, এবং উইং কমান্ডার শুভাংশু শুক্লাকে ।

ইসরো 2023 সালে রোবোটিক চন্দ্রযান-3 মিশনের সাহায্যে চাঁদে অবতরণ এবং পৃথিবী-সূর্য ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট 1-এ আদিত্য-1 সোলার প্রোব উৎক্ষেপণ-সহ বেশ কয়েকটি সাফল্য অর্জন করেছে ।

আরও পড়ুন:

  1. মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ ? প্রশিক্ষণ দেবে ইসরো; জানুন আবেদনের পদ্ধতি
  2. নয়া মিশন ইসরোর, বায়ুসেনার হেলিকপ্টার থেকে সফল অবতরণ 'পুষ্পকে'র

ABOUT THE AUTHOR

...view details