কাবুল, 28 ডিসেম্বর: পাকিস্তানে হামলা চালাল আফগানিস্তান ৷ তালিবানি আক্রমণে কেঁপে গেল ইসলামাবাদ ৷ শনিবার আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী গত সপ্তাহে মারাত্মক বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে ৷
পাকিস্তান গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানের পূর্ব পাকতিকা প্রদেশে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করে ৷ পাশাপাশি বিদ্রোহীদের হত্যা করার জন্য অভিযানও শুরু করেছে । পূর্ব আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ওই বিমান হামলায় 46 জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু ৷ এক তালিবান আধিকারিক বলেছেন, দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বেড়েছে ।
আফগান সরকারের উপ-মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত বলেছেন, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় চারটি জায়গায় হামলায় নিহত ব্যক্তিরা শরণার্থী ছিলেন । পাকিস্তানি নিরাপত্তা আধিকারিকরা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের অভিযান ছিল পাকতিকায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে ৷
শনিবার তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক্স পোস্টে জানিয়েছে, সে দেশের বাহিনী পাকিস্তানি পয়েন্টগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ৷ যেই পয়েন্টগুলি আফগানিস্তানে আক্রমণ সংগঠিত করার ব্লু-প্রিন্ট ছকার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খোয়ার্জামি হামলার বিষয়ে আর কোনও তথ্য দেননি ৷ ফলে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছিল এবং উভয় পক্ষের কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা এখনও জানা জায়নি ।
তালিবানপন্থী মিডিয়া আউটলেট, হুরিয়েত ডেইলি নিউজ জানিয়েছে হামলায় 19 জন পাকিস্তানি সেনা এবং তিনজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে । এই ঘটনার পরেই আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব খোস্ত প্রদেশে উদযাপন শুরু হয়েছে । হাজার হাজার লোককে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে ৷ আফগান সামরিক বাহিনীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ সমর্থনের আশ্বাস দিতে বেরিয়েছিলেন তারা ।
রাশেদুল্লাহ হামদর্দ বলেন, “সবাই পাকিস্তানের হামলার পরেই পাকদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল ৷ পাকিস্তান মুর্দাবাদের মতো স্লোগানও শোনা গিয়েছে ৷ ।’’