কলকাতা, 11 মে: ইগো, বর্তমান যুগে এই শব্দ বহু চর্চিত। এই শব্দটাই নষ্ট করে দেয় একাধিক ভালো সম্পর্ক । ছোটদের মধ্যেও এই শব্দই তৈরি করে বড় সমস্যা। আর ওই সমস্যা থেকে বহু মানুষ নিজেকে শেষ করে দেওয়ার মতো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেও পৌঁছে যান অনেক সময় ৷ এই ইগো থেকেই জীবনে শুরু হয় নানা জটিলতা (difference between ego and awareness)। ইগো ভুলে নিজেকে ভালো রাখবেন কীভাবে? বিশ্ব ইগো সচেতনতা দিবসে বার্তা দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ অপরূপা ওঝা।
* ইগো কী?
মনোবিদ: ইগোকে আমরা ধরে রাখি একটা নেতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে যা প্রকাশ পায় ব্যবহারের মাধ্যমে। অন্যকে ছোট করে দেখা বা তার সম্পর্কে বাজে কোনও কথা বলা এগুলোই ইগোর প্রকাশ। আর এই বিষয়টা জড়িত আছে আমাদের আত্মসম্মানের সঙ্গে। সম্মান যদি কমে যায়, তখন ইগোর কারণে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখা যায়।
* কেন ইগোর সমস্যা বাড়ছে?
মনোবিদ:কেউ প্রথমে এসে ইগো নিয়ে কথা বলেন না। আমরা কথা বলার সময় বুঝতে পারি। আসলে আত্মসম্মান সকল মানুষের আছে। কিন্তু কে কীভাবে সেটা প্রকাশ করছেন, সেটাই বড় বিষয়। অনেক সময় এটা হয়, কেউ হয়তো একটা বিষয় নিয়ে ইগো দেখাচ্ছেন অর্থাৎ তার মধ্যে ওই বিষয়টা ক্রিটিকাল অবস্থায় রয়েছে। এমনকী, তিনি জানেন বলেই এই বিষয়টা অন্য কেউ বললে, তিনি ইগোতে নিচ্ছেন। এছাড়াও, অনেক সময় পরিবেশ থেকে অনেকে বিভিন্ন জিনিস শেখেন সেটাই যখন প্রকাশ পায়, সাধারণ মানুষ মনে করে, তার খুব ইগোর সমস্যা রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ছোটবেলাও। তিনি কীভাবে বড় হচ্ছেন, তাঁকে কি বলা হচ্ছে এই সব কিছুই নির্ভর করে ইগোর সঙ্গে।
* মূলত কাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে?
মনোবিদ:কোনও নির্দিষ্ট বয়সে এই সমস্যা দেখা দেবে এমনটা নয় ৷ পুরো বিষয়টাই নির্ভর করে আত্মসম্মান এবং তিনি কীভাবে বড় হয়েছেন তার উপর। অনেক ব্যক্তি নিজেকে অনুপযোগীয় মনে করেন ৷ সেখানেও কিন্তু ইগো বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়।
* ইগোর সমস্যা বোঝার উপায়?
মনোবিদ:কেউ এসে বলে না ইগোর জন্য চিকিৎসা করাতে এসছি। এই বিষয়টা আমাদের কথা বলে বুঝতে হয়। অনেক সময় হয়তো ছোটবেলা থেকে অনেক বাচ্চারা মানসিক নির্যাতনের উপর দিয়ে গিয়েছে। অথবা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ে সে খুব আত্মবিশ্বাসী ছিল কিন্তু আচমকা তার আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছে। তারমানে সব সময় সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে তা নয় ৷ হয়তো আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মানের ধারণায় কোনও সমস্যা হচ্ছে। তখন তার ব্যবহারে এই ইগোর প্রকাশ পায় ৷