হায়দরাবাদ: বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটা করে কলা খাওয়া প্রয়োজন ৷ এটি এমন একটি ফল যা সব মরশুমেই পাওয়া যায় ৷ পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলার উপকারিতাও অনেক ৷ যা বিভিন্ন সবজি রান্নাতে ও কোফতা তৈরিতে ব্য়বহার করা হয় ৷ কাঁচা কলার উপকারী দিক নিয়ে জানালেন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান সার্টিফায়েড ডায়াবেটিস এডুকেটর কণিকা মালহোত্রা ৷
তিনি বলেন, "কাঁচা কলায় চিনির পরিমাণ কম থাকে । এছাড়াও কাঁচা কলায় বেশি ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন বি-6 এবং ভিটামিন-সি থাকে । সুস্থ থাকতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যালরি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া প্রয়োজন । কাঁচা কলা প্রি-বায়োটিক হিসাবে কাজ করে যা শরীরের প্রয়োজনীয় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে। স্টার চেইন ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়ায় যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।"
কণিকা মালহোত্রার মতে, এটি কিছু মানুষের জন্য খুব উপকারী হতে পারে । এবার জেনে নেওয়া যাক, কাদের কাঁচা কলা বেশি খাওয়া উচিত:
ক্রীড়াবিদ: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ও পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে । তাই কলা এমন একটি খাবার যা ক্রীড়াবিদদের অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । কলার প্রতিরোধী স্টার্চ একটি ধীর মুক্তি শক্তির উৎস প্রদান করে । ব্যায়াম এবং খেলাধুলোর সময় শক্তির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্রীড়াবিদদের জন্য এগুলিকে প্রাক-ওয়ার্কআউট স্ন্যাকস হিসেবে গ্রহণ করা ভালো ।
ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্তরা: পাকা কলার তুলনায় কাঁচা কলায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে । এটি ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য় করে । ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ।
যারা ওজন কমাতে চান:কাঁচা কলা ফাইবার সমৃদ্ধ। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে । তাই যারা ফিট থাকতে চান ও যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কাঁচা কলা একটি সুপার ফুড ৷
হজমের সমস্যার সমাধান: কলায় উপস্থিত রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে । উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া প্রচার করে ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো হজমের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা তাদের অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে বেশি করে কলা খেতে পারেন ।