হায়দরাবাদ: গরমকাল মানেই তরমুজ খাওয়ার মরশুম। গরমে কমবেশি অনেকেই তরমুজ ভালোবাসেন ৷ কিন্তু আপনি অবাক হবেন লাল এবং মিষ্টি তরমুজ যা গ্রীষ্মের মরশুমে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় তা ক্যানসারের পাশাপাশি লিভার ও কিডনির মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে । আসলে এই দুই বাজারে বিক্রি হওয়া তরমুজের বেশির ভাগই ইনজেকশন দিয়ে লাল ও মিষ্টি করে বিক্রি হচ্ছে । এর ফলে অনেকেরই গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে । বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা মোটা টাকা মুনাফা লাভের জন্য প্রায়শই ভেজাল তরমুজ বিক্রি করছেন ।
গরমের সময় সবচেয়ে বেশি খাওয়া মরশুমি ফল তরমুজকে লাল করতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ইনজেকশন দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে । এর ফলে লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে ৷ ইন্দোরের চিকিৎসক প্রীতি শুক্লা বলেন, "শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, কৃষকরাও দ্রুত ফসল পাওয়ার জন্য চাষের সময় ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার করেন । তরমুজে যে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে তাতে সীসা ক্রোমেট ও সুদান ক্রোমেটের মতো রাসায়নিক উপাদান রয়েছে । ফলের মধ্যে ইনজেকশন দিলে ফল ভিতর থেকে লাল হয়ে যায়, কিন্তু এই মারাত্মক রাসায়নিক মানবদেহে লিভার ও কিডনির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে, যা ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় ।"
প্রীতি শুক্লা আরও বলেন, "কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের লোভের কারণে উপভোক্তাদের জীবন বিপন্ন করছেন । তাই একেবারে প্রয়োজন না হলে গ্রীষ্মকালে এই ধরনের ফল খাবেন না । গাছে বেড়ে ওঠা ফলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে । একইসঙ্গে এখন অধিকাংশ শাক-সবজিতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে এবং ফলের ওপর মারাত্মক রাসায়নিক ছিটানো হচ্ছে । তাই সবাইকে দেখতে হবে তারা কোথা থেকে ফল সবজি কেনা হচ্ছে । সেজন্য এখন অনেক জায়গায় কিচেন গার্ডেনের প্রবণতা চলছে । এছাড়াও বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকে ফল ও সবজি কেনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । তা না হলে এই ধরনের ফল ও সবজি বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে ক্যানসারের মতো রোগ সৃষ্টি করছে ।"